• বিচারপতির মুখে মুখে তর্ক! ভর্ৎসনার মুখে বামপন্থী আইনজীবী ফিরদৌস শামিম
    প্রতিদিন | ১৮ জুন ২০২৫
  • গোবিন্দ রায়: বিচারপতির মুখে মুখে তর্ক করতে গিয়ে ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন বামপন্থী আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। এক সময়ে নিয়োগে বঞ্চিতদের মসিহা, পরে চাকরিহারাদেরই কাঠগড়ায় ওঠা এহেন আইনজীবীর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূলও। সমাজমাধ‌্যমে ভাইরাল আদালতের অনলাইন শুনানির ভিডিও ক্লিপ নিয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ‌্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “ওই যে, শামিম না কী যেন নাম, আজ কোর্টরুমকে টিভি কিংবা পোর্টাল ভেবে চেঁচাচ্ছিল। জজসাহেব বিস্তর ধমকেছেন। ধমক খেয়ে মিউ মিউ। ভুলভাল আচরণের জন্য এমন ভর্ৎসনাই যে কোনও কারওর প্রাপ্য। মাননীয় বিচারক যেরকম বকলেন, আমি কোনও আইনজীবীকে এমন ঝাড় খেতে দেখিনি। মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া দেখাবে না?”

    বুধবার প্রাথমিকে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে এই ঘটনা ঘটে। যেখানে ৩২০০০ চাকরি বাতি্ল সংক্রান্ত মামলা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। আইনজীবীর দাবি, আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীর তুলনায় কম নম্বর পেয়েও বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী চাকরি করছেন।” যদিও মামলার গ্রহণযোগ‌্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় পর্ষদের তরফে। তাদের দাবি, অপ্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী, আবেদন জানায় কীভাবে। আদালত জানতে চায়, দাবি করছেন, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া, তাহলে এত পরে মামলা করছেন কেন? শামিম জানান, তালিকা প্রকাশ হয় ২০২২ সালে। আবারও আদালত জানতে চায়, ২০২২ সালে তালিকা প্রকাশ হলে তিন বছর পরে কেন মামলা করছেন? ফিরদৌস জানান, আরটিআইয়ের কপি আসতে দেরি করায় মামলায় এই দেরি।

    কিন্তু তাঁর সওয়াল এতটাই উচ্চস্বরে ছিল যে, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর আচরণবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনজীবীর উদ্দেশে কড়া ভাষায় বিচারপতি ভট্টাচার্য বলেন, “আপনি চিৎকার করছেন কেন? এটা চিৎকার করার জায়গা? আপনি আদালতের বাইরে নেই। আদালতকে বাজার ভাববেন না। নিজের সীমার বাইরে চলে যাবেন না। আদালত জানে কীভাবে ট্যাকল করতে হয়। দয়া করে এজলাসের মধ্যে চিৎকার করবেন না। আদালতে সাবমিশন করার সময় ভদ্র আচরণ করুন।” বিচারপতির আরও সংষোজন, আপনি কি ভাবছেন এজলাসে সওয়ালের নামে চিৎকার করলেই আদালত নির্দেশ দিয়ে দেবে।” এর পরেই আদালতের কাছে ক্ষমা চান শামিম।
  • Link to this news (প্রতিদিন)