বিজেপি বিধায়কের ইউনুস যোগ, সেই সূত্রে চোরাপথে ব্যবসা! বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা
প্রতিদিন | ১৮ জুন ২০২৫
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগ! আর সেই যোগসূত্রকে হাতিয়ার করেই নাকি অশোক কীর্তনীয়া চোরাপথে ব্যবসা করছেন! এমনই বিস্ফোরর অভিযোগ করলেন বনগাঁ পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠ। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া।
গোপালবাবুর দাবি, বাংলাদেশের ইউনিসের ঘনিষ্ঠ মহলের সঙ্গে বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার সরাসরি যোগসাজশ রয়েছে। এই যোগসূত্রকে কাজে লাগিয়ে তিনি অবৈধভাবে সুপারি ও সুতিন ছেঁড়া কাপড়ের ব্যবসা চালাচ্ছেন। পুরপ্রধানের আরও অভিযোগ, সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে একাধিকবার বেআইনি পণ্য পাচার হয়েছেয। সেইসব চালানের মধ্যে বিধায়কের মালবাহী ট্রান্সপোর্টের গাড়িও ধরা পড়েছে। সম্প্রতি সীমান্তে ডিআরআই (ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স) কর্তৃক আটটি গাড়িতে কটন রেক্স বা ছেঁড়া কাপড় আটক করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। গোপাল শেঠ সরাসরি বলেন, “বিধায়ক তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে সীমান্ত অঞ্চলে অনৈতিক কার্যকলাপ চালাচ্ছেন। শুধু সুপারি বা কটন নয়, ভবিষ্যতে এই ধরনের চোরাচালানের আড়ালে অস্ত্র পাচারের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এটি দেশের নিরাপত্তার পরিপন্থী এবং তাই উপযুক্ত তদন্ত হওয়া আবশ্যক।”
গোপাল শেঠের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পালটা কটাক্ষ করেছেন বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া। তিনি বলেন, “গোপাল শেঠ মানে গোপাল ভাঁড়। ওঁর মাথায় কোনও বুদ্ধি নেই। বাবার সিম্বলে জিতে আজ পুরপ্রধান হয়েছেন। তাছাড়া ওঁর নিজের কোনও কৃতিত্ব নেই। তিনি আরও বলেন, যে গাড়িগুলি ধরা পড়েছে, সেগুলিতে যে মাল ছিল তা আমার নয়। আমি ট্রান্সপোর্টার মাত্র। ব্যবসা করতে হলে মাথা আর পরিশ্রম লাগে—যা তৃণমূলের নেতাদের নেই। ওরা শুধু সরকারি টাকায় ভাগ বসাতে জানে।” এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বনগাঁ-সহ গোটা উত্তর ২৪ পরগনায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শাসক-বিরোধী দুই শিবিরেই শুরু হয়েছে চাপানউতোর।