গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তি বৃদ্ধি করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ ও তার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে। নিম্নচাপটি ক্রমশ পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিকে ঝাড়খণ্ড ও লাগোয়া বিহারের দিকে সড়বে। এর প্রভাবে আগামী ৭২ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা থাকছে। উপকূলবর্তী জেলা ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় তুলনামূলক অধিক বৃষ্টি হবে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা জানিয়েছেন, সাধারণত জুন মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকে। বিভিন্ন আবহাওয়া সংক্রান্ত কারণে এই সময় কয়েক দিনের জন্য এগোতে কিংবা পিছোতে পারে। সেই হিসাবে স্বাভাবিক সময়েই বর্ষা দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের বাকি অংশে ঢুকেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
বুধবার অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীদেরও সতর্ক করা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় আপাতত মৎস্যজীবীদের বাংলা এবং ওড়িশার উপকূলের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির পাশাপাশি জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বুধবার । বৃহস্পতিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি ও দক্ষিণবঙ্গের নদী তীরবর্তী জেলাগুলিতে বন্যার সম্ভাবনা এড়াতে নজর রাখছে প্রশাসন।