‘জানলা দিয়ে দেখছি বোমা-বিস্ফোরণ, প্রতি মুহূর্তে আতঙ্ক’, ইরান থেকে বেরোতে আজারবাইজানের দিকে যাত্রা শুরু কলকাতার প্রফেসরের! ...
আজকাল | ১৮ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতার বাসিন্দা ফাল্গুনী দে, কালীঘাট উইমেন্স খ্রিস্টান কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর(৪০)। শৃঙ্গ জয় করতে গিয়ে, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের মাঝে পড়েছেন। প্রত্যক্ষ করেছেন যুদ্ধের বিভীষিকা। আজকাল ডট ইন-কে সেই অভিজ্ঞতার কথাই জানালেন ফাল্গুনী।
ইরানের মাউন্ট দামাভান্দ (Mt Damavand) অভিযান সফল করতে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে তিনি পৌঁছন তেহরানে। ৫৬১০মিটার শৃঙ্গের ৫২০০ মিটার ওঠার পর থেকেই প্রবল তুষার ঝড়ের কবলে পড়েন। ফলে মাঝরাস্তা থেকেই নামতে হয়। পরিকল্পনা ছিল কলকাতায় ফেরার। ইরান ছাড়ার ঠিক আগেই, আচমকা বিপত্তি। ফাল্গুনী জানান, হোটেলের জানলা দিয়ে তিনি চোখের সামনে গোটা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে দেখেছেন। ইজরায়েলের আক্রমণ, ইরানের পাল্টা আক্রমণ, মুহুর্মুহু বিস্ফোরণ, ভয়াবহতা দেখেন চোখের সামনে।
এই কয়েকটা দিন তিনি চেয়েও বাড়ি ফিরতে পারেননি। ফেরার যাত্রাও শুরু করতে পারেননি। যেহেতু এই দীর্ঘ পরিকল্পনা ছিল না, তাই ভাবনা তৈরি হয়েছে টাকা-পয়সা নিয়েও। তবে শুরু থেকেই তিনি ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
ফাল্গুনী জানিয়েছেন, দূতাবাসের পরামর্শ মতোই রয়েছেন। তবে তাঁর অভিজ্ঞতা- 'ইজরায়েলের আক্রমণের পরেও ইরানের সেই অঞ্চলের জনজীবন খুব একটা বিধ্বস্থ নয়। ইজরায়েল সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে না।' আকাশপথে বিপদ অনেক বেশি। স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি বিচারে ভাবতে হচ্ছে বিকল্প ব্যবস্থার কথা। আশেপাশে কোনও চেনামুখ তো দূর, কোনও ভারতীয়র খোঁজ পর্যন্ত মেলেনি। অন্তরায় ভাষা। প্রতিমুহূর্ত পার করছেন বোমার শব্দে, আতঙ্কে আর আত্মীয়দের উদ্বেগে।
আজকাল ডট ইন-এর সঙ্গে কথা বলার সময় ফাল্গুনী জানিয়েছেন, এখন খোঁজ চলছে বিকল্প পথের। পরিকল্পনা আজারবাইজানের দিকে হেঁটে কিংবা গাড়িতে করে যাওয়ার। মূলত সেই বর্ডার লাইন ধরেই পার করবেন ইরান।
একই সঙ্গে তিনি জানান, ‘ইরান সরকার তেমন কোনও সহযোগিতা করছে না এবং সেখানে খাওয়ার জল, স্বাস্থ্য পরিসেবা, ইন্টারনেট বা যোগাযোগ ব্যবস্থা কোনওটাই স্বাস্থ্যকর নয়, খুবই আতঙ্কে রয়েছি এবং ভয়ের সঙ্গে এগিয়ে চলেছি আমরা। এই মুহূর্তে তেহরান ছেড়ে আজারবাইজানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, সেখান দিয়েই বর্ডার লাইন ক্রস করব।‘