ঘরেতে অভাব, তাই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নটা কেমন যেন কালো ধোঁয়া, মেডিক্যাল-এ সুযোগ পেয়েও চিন্তিত বহড়ুর এই মেধাবী ছাত্রী ...
আজকাল | ১৮ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: সর্বভারতীয় মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় সফল হয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার বহড়ুর বাসিন্দা তিস্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, পরিবারের আর্থিক সংকট। সরকারি মেডিক্যাল কলেজে সুযোগ পাওয়াটা গর্বের বিষয়। সেখানে এই সুযোগ হাতে এলেও শেষপর্যন্ত তা কাজে লাগানো যাবে কিনা সেটা ভেবেই মুষড়ে পড়ছে তাঁর পরিবার। তিস্তার বাবা সজল বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি একটি ছোট্ট দোকান চালান। তিস্তার বাড়ি জয়নগর থানার জয়নগর ১ নং ব্লকের বহড়ু ক্ষেত্র গ্রাম পঞ্চায়েতের বহড়ু মাঝের পাড়ায়।
ছোটবেলা থেকেই তিস্তা মেধাবী ছাত্রী। পঞ্চম শ্রেণী থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত দক্ষিন বারাসত শ্রী শ্রী সারদামণি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রতিটি ক্লাসে প্রথম হয়ে এসেছেন। একাদশ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দক্ষিন বারাসত শিবদাস আচার্য হাইস্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ২০২৪ সালে এই স্কুল থেকে ৯৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন।লেখাপড়ার প্রতি ছেলেবেলা থেকেই তাঁর অদম্য জেদ। যার জেরেই তিনি সফল হয়েছেন সর্বভারতীয় মেডিক্যাল এন্ট্রান্সে। অথচ বাবার তেমন আর্থিক সামর্থ্য নেই। স্থানীয় শিক্ষকদের কাছেই পড়াশোনা। ফলে ছেলেবেলা থেকেই পরিবারের অন্যান্যরা তাঁর সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন।
তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৫ অর্থাৎ এবছরের সর্বভারতীয় মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় তিস্তা ৭২০ এর মধ্যে ৫১৮ নম্বর পায়। তাঁর র্যাঙ্ক ৩৪০৩৭।
এবিষয়ে তিস্তা বলেন, 'ছোট থেকেই আমার একটাই ভাবনা আমি কবে এমবিবিএস পড়ে ডাক্তার হব। ডাক্তার হয়ে গ্রামের প্রকৃত গরীব মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেব।'