স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন, অন্য যুবকের সঙ্গে মেলামেশা, চুঁচুাড়ায় আত্মঘাতী অস্থায়ী মহিলা হোমগার্ড...
আজকাল | ১৮ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: চন্দননগর কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত মহিলা ট্রাফিক কর্মী ছিলেন দেবপ্রিয়া শেঠ (৩৪)। রবিবার রাতে বাপের বাড়িতেই তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন বলে জানা গিয়েছে। হুগলির চুঁচুড়া পৌরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের গড়বাটি রাজরাজেশ্বরী তলায় দেবপ্রিয়া বাবা-মায়ের সঙ্গে তাঁর মেয়েকে নিয়ে থাকতেন।
বিগত বেশ কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে দেবপ্রিয়া শেঠের অশান্তি চলছিল বলে মৃতার পারিবার সূত্রে খবর। তার জেরেই অবসাদ, আর সেই কারনে ওই মহিলা ট্রাফিক কর্মী আত্মঘাতী হন বলে মনে করা হচ্ছে।
দেবপ্রিয়ার মা মঞ্জুলা ভট্টাচার্য বলেন, মেয়ে অভিষেক নামে এক যুবকের সঙ্গে মেলামেশা করত। সেসব কথা জামাইকে বলে দিত নাতনি। নাতনি আমার মেয়ের থেকে ওর বাবাকে বেশি ভালোবাসত। তা নিয়ে মেয়ের অভিমান ছিল। গত সাত মাস ধরে মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের অশান্তি চলছিল। জামাই আমাদের বাড়িতে আসত না। যে যুবকের সঙ্গে মেয়ে মিশত তাঁর বাড়িতে গিয়ে জামাই কয়েকদিন আগে অশান্তি করে আসে।মেয়ে ডায়রিতে সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছে, মৃত্যুর জন্য জামাই আর ওর মেয়েকে দায়ী করেছে। তবে আমরা কোনও পুলিশ কেস করব না, কারণ আমরা আর কদিন আছি। নাতনিটাকে ওর বাবাই দেখবে বলেছে।"
ত্রিশ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌমিত্র ঘোষ বলেন, "ট্রাফিক হোম গার্ডের কাজ করত মেয়েটি। পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল, সেই কারণে সোমবার সে আত্মহত্যা করে। একটা সুইসাইড নোট ও নাকি লিখে দিয়ে গিয়েছে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে দেখছে।"