ছ’শো মিটারের একটি ছোট রাস্তা, জুড়তে চলেছে সাতটি গ্রামকে, বহুদিনের স্বপ্ন পূরণে খুশি গ্রামবাসীরা...
আজকাল | ১৮ জুন ২০২৫
মিল্টন সেন, হুগলি: চাষের জমি চিরে তৈরি হচ্ছে ছোট একটি রাস্তা। আর সেই রাস্তাই বদলে দিতে চলেছে গ্রাম্যজীবনের গতি। সহজ হতে চলেছে যাতায়াত ব্যাবস্থা। পাল্টে যেতে চলেছে জীবনযাত্রা। আগে রেলস্টেশন, বাজার, স্কুল, পঞ্চায়েত অফিস থেকে ব্যাঙ্কে যাওয়ার জন্য ঘুরতে হতো অনেকটাই পথ। মহকুমাশাসকের উদ্যোগে সেই রাস্তা সহজ হতে চলেছে। এগিয়ে এসেছেন গ্রামের কৃষকরা। স্বেচ্ছায় দান করেছেন তাঁদের জমি। তৈরি হচ্ছে রাস্তা। মাত্র ছ’শো মিটার রাস্তার মাধ্যমে সাত গ্রামের মেলবন্ধন ঘটতে চলেছে। পূরণ হতে চলেছে গ্রামবাসীদের বহু দিনের কাঙ্খিত স্বপ্ন।
নতুন রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হওয়ায় সুবিধে হল বলাগড় ব্লকের সিজা-কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কামালপুর, হরিসারপুর, গোল্লুই, ঢাকছাড়া-সহ সাতটি গ্রামের মানুষের। এবার সুবিধে হবে চাষের ফসল তুলে আনার ক্ষেত্রে। মাঠের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করার আর প্রয়োজন হবে না। নতুন রাস্তা সেই সমস্যা দূর করবে। আগে, স্কুল বা বাজার যাওয়ার ক্ষেত্রে ছয় নম্বর রাজ্য সড়ক দিয়ে অনেকটা পথ ঘুরতে হত। তাতে বিপদের ঝুঁকিও ছিল। বিশেষ করে স্কুলের বাচ্চাদের জন্য। মাঠের ভিতর রাস্তা হওয়ায় সেই সমস্যাও আর রইল না। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে গ্রামবাসীদের কাছে রাস্তা তৈরি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গেই পঞ্চায়েতের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান গ্রামবাসীরা। রাস্তা তৈরির জন্য নিঃস্বার্থ জমি দান করেন ওই এলাকার কৃষকরা।
এই প্রসঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অরিজিত দাস জানিয়েছেন, জেলা পরিষদের প্রকল্পে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকায় এই ঢালাই রাস্তা তৈরি হয়েছে। সদর মহকুমাশাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লার সহযোগিতা ছাড়া এই রাস্তা তৈরি সম্ভব হত না। গ্রামের মানুষও এগিয়ে এসেছেন। এক হাজার আটশ মিটার রাস্তার ছ’শো মিটার রাস্তা মাঠের মধ্যে ছিল। খামারগাছি হাইস্কুল যেতে সমস্যা হত পড়ুয়াদের। এই রাস্তা সেই গ্রামগুলিকে জুড়ে দিয়েছে। বর্তমান সময়ে এক ছটাক জমিও কেউ ছাড়তে চান না। অথচ মানুষের কাজে লাগবে বলে এক কথায় কৃষকরা তাঁদের নিজেদের জমি দিয়েছেন।
কামালপুর গ্রামের বাসিন্দা মহিরা বেগম জানিয়েছেন, বাচ্চাদের ঘুরে ঘুরে স্কুলে যেতে হয়। সামান্য জমি দিলে যদি মানুষের উপকার হয় তাই তিনি জমি দিয়েছেন।