পঞ্জাবি পুলিশ অফিসারের পাগড়িতে চপ্পল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় নিন্দা জানাল শিখদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা অমৃতসরের শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি (এসজিপিজি)। ওই কমিটির সভাপতি হরজিন্দর সিংহ ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। পাশাপাশি, সোমবার বিধানসভায় বিষয়টি নিয়ে নাম না করে সুকান্তকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে তুলসী গাছ দিতে চেয়ে কালীঘাটে তাঁর বাড়িতে যেতে চান সুকান্ত। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় ঢোকার মুখে পুলিশ তাঁকে আটকায়। পরে আটক করা হয়। অভিযোগ, সুকান্তকে যখন প্রিজ়ন ভ্যানে তোলা হচ্ছিল, তখন তিনি হাওয়াই চপ্পল ছোড়েন। সেই চপ্পল গিয়ে লাগে এক শিখ ধর্মালম্বী এক পুলিশ অফিসারের পাগড়িতে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি।
সুকান্তের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের নিন্দা করে হরজিন্দর বলেন, ‘‘কাজটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং শিখদের অনুভূতির প্রতি গভীর অবমাননাকর। শিখেরা পাগড়িকে সম্মান এবং মর্যাদার প্রতীক হিসাবে মনে করেন। তাই পাগড়ির উপর যে কোনও ধরনের আক্রমণ গুরুতর অপমান।’’ এসজিপিজির সভাপতির কথায়, ‘‘এই ধরনের ঘটনা সহ্য করা যায় না। ভবিষ্যতে যাতে এর পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’ এই ঘটনার পর বিজেপির নীরব থাকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন হরজিন্দর। তিনি জানান, বিজেপি যদি কঠোর পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়, তবে এই ধরনের আচরণকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা রয়েছে বলে বিবেচনা করা হবে।
সোমবার বিধানসভায় সুকান্তের বিরুদ্ধে চপ্পল ছোড়ার অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রীও। শুধু তা-ই নয়, নাম না করে সুকান্তকে ‘হাফ মিনিস্টার’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘এক জন হাফ মিনিস্টার আমার পাড়ায় ঢুকে পঞ্জাবি পুলিশের মাথার উপর জুতো ছুড়েছিলেন। এই ঘটনায় শিখেরা বিক্ষুব্ধ। তারা প্রতিবাদও জানিয়েছে।’’ তিনি এ-ও হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘আমার বাড়িতে আপনারা এলে, আমিও আপনাদের বাড়িতে যেতে পারি।’’ শুধু তা-ই নয়, সুকান্তকে হাওয়াই চপ্পলের দোকান খোলারও পরামর্শ দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘হাওয়াই চটি যদি এতই পছন্দ হয়, তবে চপ্পলের দোকান খুলুন।’’