'অপারেশন সিঁদুর' চলাকালীন ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়েছিল পাকিস্তান, একের পর এক নিস্ক্রিয় করেছিলেন এই ব্যক্তি, চিনে নিন রাজ্যের এই বীর সৈনিককে ...
আজকাল | ১৭ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'অপারেশন সিঁদুর' চলার সময় সীমান্তের ওপার থেকে উড়ে আসছিল একের পর এক ড্রোন। যেগুলি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে জ্যাম করে দিয়ে নিস্ক্রিয় করে দিচ্ছিলেন তিনি। নদীয়ার চাকদহের বাসিন্দা এই সৈনিক মিলনকুমার খাঁ সোমবার বাড়ি ফেরার পর তাঁকে ঢাক বাজিয়ে এবং সিঁদুর পরিয়ে অভ্যর্থনা জানালেন নদীয়াবাসী। চাকদহ ব্লকের পুমলিয়ার বাসিন্দা মিলন সেনার ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স বা ইএমই বিভাগে নায়েব সুবেদার পদে কর্মরত।
তাঁর কথায়, পাকিস্তানের অধিকাংশ আক্রমণ ছিল ড্রোনের মাধ্যমে। যেগুলি ভারতীয় সীমায় প্রবেশ করলেই জ্যাম করে নিস্ক্রিয় করে দেওয়া হত। কাশ্মীরের শ্রীনগর এলাকায় পোস্টিং থাকলেও অপারেশন সিঁদুর শুরু হওয়ার পর মিলন ও আরও কয়েকজনকে পুঞ্চ সেক্টরে কাজে লাগানো হয়। তিনি জানান, সীমান্তের ওপার থেকে শয়ে শয়ে ড্রোন পাঠিয়েছিল পাকিস্তান।
যেগুলো ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে তাকে জ্যাম করে দিয়ে অকেজো করে দেওয়া ছিল তাঁর ও তাঁর সহকর্মীদের কাজ। মিলন জানান, তাঁদের দলে ১০ জন ছিলেন। একটি আইইডি ব্লাস্ট হওয়ায় একজন আহত হয়েছিলেন। বাকিরা সকলেই অক্ষত ছিলেন। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে সরাসরি অংশ নেওয়া এই সৈনিকের কাহিনী শুনতে এদিন তাঁর প্রতিবেশীদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
বাবা-মা ছাড়াও এই নায়েব সুবেদারের বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী ও তাঁদের দুই সন্তান। আপাতত ২০ দিনের ছুটিতে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। তারপর আবার ফিরে যাবেন তাঁর কর্মস্থলে।