বাংলা ভাষায় কথা বলাই কি কাল হলো? মহারাষ্ট্র থেকে এক পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁর স্ত্রীকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। যুবকের নাম ফজের মণ্ডল। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী তাসলিমা মণ্ডলও। দু’জনেই উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা এলাকার বাসিন্দা। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন বাগদার বিধায়ক।

জানা গিয়েছে, ফজেরের পরিবার বাগদা থানার রনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিহরপুর এলাকায় থাকেন। জীবিকার সন্ধানে তিনি প্রথমে কর্নাটকে গিয়েছিলেন। কয়েকমাস পর সেখান থেকে মহারাষ্ট্রে যান। সেখানেই ধৃত কয়েকজন বাংলাদেশির সঙ্গে ফজের ও তাঁর স্ত্রীকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। ওই পরিবারের অভিযোগ, জন্ম শংসাপত্র, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড থাকা সত্ত্বেও তাঁদেরকে ছাড়া হয়নি।

ওই যুবকের বাবা তাহাজুল মণ্ডল জানান, কয়েকদিন আগেই ছেলে বাড়িতে ফোন করে নথিপত্র পাঠাতে বলে। সমস্ত নথি পাঠানোর পরে তাঁর সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পর বাংলাদেশের দিনাজপুরে বিজিবি থেকে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

সেখান থেকেই জানানো হয়, দু’জন বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছেন। ভারত বাংলাদেশের বর্তমান কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে গোটা পরিবারকে। তাহাজুল বলেন, ‘ও বাংলা ভাষায় কথা বলত বলেই কি ও পারে পাঠিয়ে দিল? বুঝতে পারছি না। খুবই চিন্তায় রয়েছি।’

কী করতে হবে? কোনও উপায় খুঁজে না পেয়ে স্থানীয় বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুরের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই পরিবার। বিধায়ক বলেন, ‘ছেলেটি ভারতেই জন্মেছে। আমার কাছে সমস্ত নথি রয়েছে। আমি বিষয়টি রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানাবো। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব।’