তাঁর মাসিক আয় মেরেকেটে ৯ হাজার। কিন্তু সেই যুবকেরই নাকি সাত কোটি টাকা জিএসটি বকেয়া? এখানেই শেষ নয়, বকেয়া আদায় করার জন্য তাঁর হাওড়ার ডোমজুড়ের ভাঙাচোরা বাড়িতে হানাও দেন জিএসটি আধিকারিকদের। গোটা ঘটনায় তাজ্জব ডোমজুড়ের যুবক কার্তিক রুইদাস। সোমবার বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। কার্তিক হাওড়ার জাতীয় সড়কের ধারে একটি কারখানায় কাজ করেন। হঠাৎ তিনি বাড়ি থেকে ফোন পান জিএসটি অফিসারদের অভিযানের বিষয়ে। অভিযোগ শুনে আকাশ থেকে পড়েছিলেন তিনি। তড়িঘড়ি নিজের পুরোনো সাইকেলে করে বাড়ি এসেছিলেন। সেই সময়েই জিএসটি আধিকারিকরা জানান, তাঁর সাত কোটি টাকা জিএসটি বাকি রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, তাঁর একটি সংস্থা রয়েছে। যেখানে প্রতি মাসে ৩৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়।
আধিকারিকদের থেকে এ সমস্ত কথা শুনে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠে কার্তিকের। তিনি জানান, তাঁর দিন আনি দিন খাই অবস্থা। জীবনে কোনওদিন ব্যবসাও করেননি। তাঁর ঠিকানা, প্যান কার্ড, আধার কার্ড এবং ইলেকট্রিক বিলের তথ্য ব্যবহার করে কেউ নাম জিএসটি পোর্টালে তুলেছে বলে দাবি করেন তিনি।
কার্তিকের ভাঙাচোরা বাড়ি দেখে জিএসটি অফিসাররাও নিশ্চিত হয়ে যান সেখানে বড় কোনও কারখানা যে নেই। পাশাপাশি জিএসটি পোর্টালের মোবাইল নম্বরের সঙ্গে কার্তিকের নম্বরের কোনও মিল নেই বলেও জানতে পারেন তাঁরা। এর পরেই সাইবার সেলের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই যুবক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কার্তিক জানান, তাঁর ৯ বছরের মেয়ে আছে। মাস দেড়েক আগে ফের বাবা হয়েছেন তিনি। স্ত্রী পুরোপুরি সুস্থ নন। এই গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত তাঁর পরিবারের সকলেই।