নামে যে কত কিছু আসে যায়, শিলিগুড়ি পুর এলাকার একটি আত্মহত্যার ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। পড়শি নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির সঙ্গে নামের মিল থাকায় বিড়ম্বনা বাড়ছিল তাঁর। পরিবারের দাবি, দু’জনের নামের মোটামুটি মিল থাকায়, অনেকেই ৫১ বছরের ওই ব্যক্তিকে ‘অভিযুক্ত’ বলে ভেবে বসেছিলেন। তা নিয়ে আত্মগ্লানিতেও ভুগছিলেন কয়েক দিন ধরে। শনিবার বাড়ির সামনে চরম অশান্তি হয়। এর পরেই সোমবার এই ঘটনা ঘটে বলে পরিবার সূত্রে খবর।
কয়েক মাস আগে এই ঘটনার সূত্রপাত। মাথাভাঙার এক ব্যক্তি শিলিগুড়িতে এসে থাকছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সবটা জানাজানি হতেই মাথাভাঙায় পালিয়ে যান অভিযুক্ত। পরে পুলিশের হাতে ধরাও পড়েন। মাথাভাঙার ওই ব্যক্তি শিলিগুড়িতে যেখানে থাকতেন, সেখানেই বাড়ি মৃতেরও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত শনিবার রাতে কয়েক জন অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর করে। এ দিকে অভিযুক্তের বাড়ির সীমানাতেই অন্যজনেরও বাড়ি। নামও একই রকম, বয়সও কাছাকাছি। অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর হওয়া এবং একই এলাকার ঘটনা হওয়ায় অনেকের মনে প্রতিবেশী সেই ব্যক্তির ব্যাপারে ভুল ধারণা তৈরি হতে থাকে।
শনিবারের পরে রবিবার দুপুরেও ফের ওই সংগঠনের তরফে এলাকায় গিয়ে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এতেই ভয় ও অপমানে সেই ব্যক্তি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে দাবি পরিবারের।
তাঁর পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘ঘর ফাঁকা ছিল। আমরা বাড়ির বাইরে ছিলাম। বিকেল চারটে নাগাদ বাড়িতে ফিরে একটি ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পাই। ধাক্কাধাক্কি করে দরজা খুলে দেখি ওই ব্যক্তি গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন।’ দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ পিকেটিং রয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলার জানান, পুলিশ বিষয়টি দেখছে।