মাত্র নয় মাস আগে বিয়ে হয়েছিল তরুণীর। রাজারহাটের শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি। সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ সেখান থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হলো। রাজারহাট থানা অন্তর্গত জগদীশপুর মুসলিম পাড়ার বাড়ি থেকে ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম মেহেক আনসারি, বয়স ১৯ বছর। ওই তরুণী রাজারহাট জগাডাঙার বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, জগদীশপুরের যুবক জাকির হোসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। ৯ মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। জাকির অনলাইন ডেলিভারি সংস্থায় কর্মরত। তরুণী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে পরিবার সূত্রের খবর। তরুণীর মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা নিয়ে পুলিশ কিছু জানায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে রাজারহাট থানার পুলিশ।
নিহত তরুণীর পিসির অভিযোগ, ‘২ দিন আগেই বাপের বাড়ি এসেছিল। তিন দিনের মাথায় মরল কী ভাবে? আমরা আইনি পদক্ষেপ করতে চাই।’ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ তুলেছে বাপের বাড়ির লোক। সেই সংক্রান্ত কল রেকর্ডও রয়েছে বলে দাবি নিহত তরুণীর পরিবারের। তাঁর দাবি, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এমন পদক্ষেপ তাঁর ভাইঝি করতেই পারে না। হাসপাতাল থেকে দেহ নেওয়ার সময়েও শ্বশুরবাড়ির কেউ উপস্থিত ছিল না বলে জানিয়েছেন নিহত তরুণীর বাবা আনসার আলি বৈদ্য। তাঁর অভিযোগ, ‘আমার মেয়ে ৬ মাসের অন্তঃসত্তা। শ্বশুরবাড়ির লোক কিছু একটা করেছে।’ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে রাজারহাট থানায় হাজির হয়েছেন মৃত তরুণীর আত্মীয়-স্বজনরা। নিহত তরুণীর শ্বশুরবাড়ির কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।