মৃত্যুঞ্জয় দাস: মন্ত্রীর স্বামীকে মারধরের ঘটনায় এবার পথে নামল তৃণমূল। খাতড়া বাজারে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল ও সভা তৃণমূলের।
গত শুক্রবার রাতে রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহিন মান্ডির উপর হামলা ও মারধরের ঘটনাকে ঘিরে ক্রমশই উত্তাপ চড়ছে বাঁকুড়ায়। মিথ্যা অভিযোগে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার ও মাঝরাতে দলীয় কার্যালয়ে পুলিসি হানার প্রতিবাদে বিজেপির আন্দোলনের পর এবার হামলা ও মারধরের প্রতিবাদে রাস্তায় নামল তৃণমূলও। গতকাল সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার খাতড়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে মিছিল ও সভা করে তৃণমূল। হাজির ছিলেন খোদ মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি।
গত শুক্রবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় আক্রান্ত হন রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহিন মান্ডি। বিজেপি পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়ে মারধর করেছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত খাতড়া তথা বাঁকুড়ার রাজনীতি। পুলিস এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ৫ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারের পাশাপাশি শনিবার গভীর রাতে অভিযুক্তদের খোঁজে হানা দেয় বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে।
অভিযোগ দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে পুলিস ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। সেই ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বাঁকুড়া সদর থানা ঘেরাও করে বিজেপি কর্মীরা রবিবার প্রবল বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার কড়া প্রতিক্রিয়া দেন। ঘটনা নিয়ে বিজেপি রাস্তায় নামতেই পাল্টা রাস্তায় নামার ডাক দেয় তৃণমূলও।
বাঁকুড়ার খাতড়ায় মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে তার প্রতিবাদে খাতড়ায় মিছিল ও সভার আয়োজন করেন। মন্ত্রীর দাবি, এতদিন ধরে খাতড়াকে তাঁরা শান্ত করে রেখেছেন। বর্তমানে বিজেপির গুন্ডা বাহিনী সেই খাতড়াকে অশান্ত করতে চাইছে। সাধারণ মানুষের কাছে বিজেপির সেই পরিচয় তুলে ধরতেই এই মিছিল ও সভার আয়োজন।