কাউন্সিলর-মেয়র জায়গা ঠিক করেছে, আপাতত ওখানেই বাজার, নতুন ‘মার্কেট’-এর কথা জানালেন মমতা ...
আজকাল | ১৬ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার গভীর রাতে খিদিরপুর বাজার এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুড়ে ছাই বহু সংখ্যক দোকান। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হলেন সাধারণ দোকানদার থেকে ব্যবসায়ীরা। সোমবার দুপুরেই খিদিরপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। জানালেন রাজ্য সরকার পাশে রয়েছে। একগুচ্ছ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী, দোকানদারদের।
সোমবার ঘটনাস্থলে পৌঁছেই সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে মমতা বলেন, যতক্ষণ না আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসছে, আগুন নেভানোর কাজ সম্পন্ন হচ্ছে, ততক্ষণ কাজ করতে দেওয়া হোক পুলিশ এবং দমকলকে, কেউ যেন বাজার এলাকার ভিতরে না যান। প্রয়োজনে ঘটনাস্থলে ওয়াটার ট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে জানান, সমস্ত নিয়ম মেনে, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নতুন মার্কেট বানিয়ে দেওয়া হবে। যাতে ভবিষ্যতে কোনও ধরনের সমস্যার তৈরি হয়। আর নতুন বাজার তৈরি করে দেবে খোদ রাজ্য সরকার, এদিন তাও সাফ জানিয়ে দেন মমতা। জানান, নতুন বাজার তৈরির জন্য,আপাতত বাজার স্থানান্তর করা হবে। কাউন্সিলর এবং মেয়র মিলে সেই জায়গা ঠিক করেছেন। কথা বলেছেন তিনি নিজেও। নতুন বাজার তৈরির আগে, নিকটবর্তী ওই স্থানেই অস্থায়ী বাজার স্থানান্তরিত হবে।
একই সঙ্গে মমতা জানান, কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ড, কতগুলি দোকান জ্বলে গিয়েছে, তদন্ত হবে তা নিয়েও। দেখা হবে, কার কার দোকান জ্বলে গিয়েছে। কার দোকান সম্পূর্ণ জ্বলে গিয়েছে, কার দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। তদন্তের পর দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ। যাঁদের দোকান সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গিয়েছে তাঁদের সরকার এক লক্ষ করে দেবে। আংশিক পুড়ে গিয়েছে যাঁদের দোকান, তাঁদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার করে। নতুন বাজার তৈরি হওয়ার সময়, যাঁদের দোকান ছিল, তাঁদেরই দোকান থাকবে। বাইরে থেকে কোনও অতিরিক্ত দোকান হবে না বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত দোকানিদের দশ হাজার করে দেওয়া হবে সংসার চালানোর জন্য, তাও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, রবিবার রাত ২টো বেজে ৫ মিনিটে খিদিরপুর বাজারে আগুন লাগে। ঘিঞ্জি এলাকায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। ক্রমেই আগুন গ্রাস করে গোটা বাজার। বাজারের মধ্যে একটি তেলের গুদাম রয়েছে। সেই গুদামেও আগুন লাগে। দ্রুত দমকলে খবর দেওয়া হয়। রাতেই দমকলের কমপক্ষে ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গভীর রাতেি ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই খানিকক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। সোমবার দুপুরেই ঘটনাস্থলে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।