এই সময়, দিঘা: আর কয়েক দিন পরেই দিঘায় মেগা ইভেন্ট। জগন্নাথ মন্দিরে এই প্রথম রথের রশিতে টান পড়বে। আর তাতে যে অতিরিক্ত ভিড় হবে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
প্রথম রথযাত্রা যাতে সুষ্ঠু এবং নির্বিঘ্নে হয়, তাই আগে থেকে তৎপর জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রায় ২ লক্ষ ভক্ত সমাগম হতে পারে দিঘার প্রথম রথযাত্রা উৎসবে। তাই নজরদারি আর নিরাপত্তায়ও কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না তাঁরা।
ভিড় নিয়ন্ত্রণে কী কী পদক্ষেপ করা হবে, তা চূড়ান্ত করতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বৈঠকে বসতে চলেছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিড়ে নজরদারির জন্য ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে রথের যাত্রা পথের বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো হবে। জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টি কমিটির সদস্য রাধারমণ দাস বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে সব প্রস্তুতি চলছে। একাধিক বৈঠকও করা হয়েছে। রথের আগে আবারও প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসা হবে।’
পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘মন্দির উদ্বোধনের সময়ে যে ভাবে ভিড় সামলাতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সে রকম রথেও বাড়তি নজরদারি থাকবে।
অন্য জেলা থেকে পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীদের নিয়ে আসা হবে। দিঘা শহরের সব রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হলে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
এ দিকে রবিবার থেকেই দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে ভোগ প্রসাদ বিতরণ করা শুরু হয়েছে। স্নানযাত্রার পর থেকে মন্দিরে আসা ভক্তদের খিচুড়ি ও মিষ্টি প্রসাদ বিতরণ করা হচ্ছে। মাটির হাঁড়িতে খিচুড়ি ও মিষ্টি প্রসাদ ১০০ টাকার বিনিময়ে কিনতে পারবেন ভক্তরা।
রথ যাত্রার সময়েও এ ভাবেই জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি থেকে প্রসাদ কিনতে পারবেন ভক্তরা। এ দিকে স্নানযাত্রার পর থেকেই নিভৃতবাসে রয়েছেন জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রা। ১০৮ কলসি জলে স্নান করে জ্বর এসেছে তাঁদের।
এখন নিভৃতবাসে চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন মন্দির ট্রাস্টি কমিটির সদস্য ও ইসকনের কলকাতা শাখার সহ-সভাপতি রাধারমণ দাস। তাঁদের সুস্থ করে তুলতে এখন দশটি গাছের নির্যাস থেকে তৈরি বিশেষ পাচন, তাল মিছরির জল আর সেদ্ধ সজি ভোগ দেওয়া হচ্ছে। রথযাত্রার দিন ফের ভক্তদের সামনে আনা হবে তাঁদের।