• অসুস্থ ৬ ‘যোগ্য’ আন্দোলনকারী, আজ কমিশনের ফর্ম ফিল আপ
    এই সময় | ১৬ জুন ২০২৫
  • এই সময়: তিনদিন ধরে লাগাতার অনশন। এক দিকে খিদে, অন্যদিকে দুশ্চিন্তা — দুইয়ের জাঁতাকলে পড়ে রবিবার একের পর এক অনশনকারী চাকরিহারা শিক্ষক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। সংখ্যাটা এক-দুই করে দাঁড়িয়েছে ৬-এ।

    তাঁদের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক শিক্ষিকা গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরেও এ দিন অনশন মঞ্চ ছেড়ে হাসপাতালে যেতে রাজি হননি। এরই মধ্যে আজ, সোমবার শুরু হচ্ছে এসএসসি-র নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফর্ম ফিল আপ।

    যার বিরুদ্ধেই চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের অনশন। কারণ তাঁদের অনেকেরই দাবি, দুর্নীতি তাঁরা করেননি। তাই আবার যোগ্যতার পরীক্ষায় তাঁরা বসবেন না।

    তিন দিন ধরে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের উল্টো দিকে ধর্না মঞ্চে লাগাতার অনশন চালাচ্ছেন ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের ১০ জন। রবিবার সকাল থেকে দফায় দফায় ছ’জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের ব্লাড প্রেশার নেমে গিয়েছে, মাসলে ক্র্যাম্প, লুজ় মোশন, পেটে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।

    প্রথম অসুস্থ হন বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষক। তাঁর শরীরে অস্বাভাবিক কাঁপুনি দেখা যায়। তখন প্রবল বৃষ্টি। অনশনকারীদের অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রশাসন ধর্নামঞ্চ তৈরি করে দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেটা এমনই যে মাথার উপর থেকে জল পড়ছে!

    যে সময়ে বলরাম অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন ঘটনাস্থলে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স ছিল না বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারীরাই কোনওমতে গাড়ি জোগাড় করে তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার বিল্ডিংয়ের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে ভর্তি করে নেন চিকিৎসকরা।

    এরপরে সকাল থেকে বিকেল গড়াতে গড়াতে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনশনকারী অচিন্ত্যকুমার দাস, বিকাশ রায়, সুকুমার সরেন, মানিক মজুমদাররা। গুরুতর অসুস্থ আন্দোলনের অন্যতম নেতা চিন্ময় মণ্ডলও। তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, বাকিদের আরজি করে।

    এরই মধ্যে অনশনকারী শিক্ষিকা মিতা সরকার আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে তাঁকেও হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন ওই আন্দোলন মঞ্চে উপস্থিত জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের চিকিৎসকরা। কিন্তু মিতা রাজি হননি। পরে প্রশাসনের তরফে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান অনশনকারীরা।

    সাংবাদিক বৈঠক করে চাকরিহারা আন্দোলনের নেতা মেহবুব মণ্ডল বলেন, ‘এই অসুস্থতার জন্য যদি কেউ দায়ী হয়, সেটা সরকার। আমরা কেউ আবার পরীক্ষা দেবো না।

    আমরা কালই (আজ, সোমবার) ১৫ হাজার ৪০৩ জন যোগ্য শিক্ষকের সই সংবলিত দাবিপত্র বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর হাতে তুলে দেবো।’ যদিও শিক্ষামন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, তিনি জানেন যে, অধিকাংশ শিক্ষকই ফের পরীক্ষায় বসতে চান।

  • Link to this news (এই সময়)