• কাল-পরশুই বর্ষা ঢুকবে দক্ষিণবঙ্গে, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
    এই সময় | ১৬ জুন ২০২৫
  • এই সময়: অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আগমন-বার্তা। ১৭ দিন উত্তবঙ্গে আটকে থাকার পরে শেষ পর্যন্ত কাল, মঙ্গলবার অথবা পরশু, বুধবার দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হওয়ার ব্যাপারে প্রবল আশাবাদী আলিপুর হাওয়া অফিস।

    রবিবার মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার উপ-মহাধ্যক্ষ সোমনাথ দত্ত দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা নিয়ে এমন আশার কথা শুনিয়েছেন।

    দেশে বর্ষা নামার নির্ধারিত তারিখ ১ জুন। এ বছর তার কয়েক দিন আগেই কেরালায় ঢুকেছিল বর্ষার বাতাস — ২৪ মে। উত্তরবঙ্গে সাধারণত বর্ষা ঢোকে ৭ জুন নাগাদ। এ বছর ঢুকেছে ২৯ মে। তার পর থেকেই আশায় বুক বেঁধেছিল দক্ষিণবঙ্গ।

    মে-র শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে ৯২ বছরের শীতলতম মে মাস পেয়েছে দেশ। তবে তাপমাত্রা সে ভাবে না–বাড়লেও বাতাসে জলীয় বাষ্প বাংলা ও ওডিশায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরম জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল।

    আবহবিদরা জানিয়েছিলেন, ‘পুরোদস্তুর’ বর্ষা না–নামলে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। শেষ পর্যন্ত বহু প্রতীক্ষিত ‘পুরোদস্তুর’ বর্ষার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো। তবে দেশে এবং উত্তরবঙ্গে যেমন নির্ধারিত তারিখের আগেই বর্ষা নেমেছিল, দক্ষিণবঙ্গে তেমন হলো না। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা নামার তারিখ ১৫ জুন। এ বছর সেই তারিখ সামান্য হলেও পিছোল।

    রবিবার আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে একসঙ্গে একজোড়া ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণাবর্ত বাংলাদেশের দক্ষিণ দিকে এবং অন্যটি অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব উপকূলের কাছে রয়েছে।

    এদের প্রভাবে রবিবার রাত থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়। আজ থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব বেশি। আবহবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন, উত্তরবঙ্গে প্রবেশের পরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বাতাস যে ভাবে থমকে গিয়েছিল, সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে একমাত্র বঙ্গোপসাগরে তৈরি কোনও ‘ওয়েদার সিস্টেম’।

    শেষ পর্যন্ত একটির পরিবর্তে একজোড়া ওয়েদার সিস্টেম তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্তের রূপ ধরে। ওই জোড়া সিস্টেমই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা নামাতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    রবিবার হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির (৭–১১ সেন্টিমিটার) পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। কাল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় অতিভারী বৃষ্টির (৭–২০ সেমি) লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলোয় বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বুধবারও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব বেশি।

    অন্যদিকে আজ থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত অর্থাৎ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস এবং হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)