বিধান সরকার: ছয় দশকে এই প্রথম। তেষট্টি বছরে কোন্ননগরের সমবায় সমিতিতে এবার ভোট হল। সেই ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূলই। খাতা খুলতে পারল না বামেরা। প্রার্থীই ছিল না বিজেপির।
কোন্নগর নবগ্রাম পিপলস কো-অপারেটিভ লিমিটেড সমবায়। ৬৩ বছর আগে এই সমবায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে এত বছরে কখনও ভোট হয়নি। প্রথমবার ভোট হতেই বড় জয় পেল তৃণমূল। আজ, রবিবার দিনভর ভোটগ্রহণকে ছিল টানটান উত্তেজনা। নবগ্রামে ৩ স্কুলের ১৮ বুথে সমবার সমিতির ৫৬ আসনে ভোটগ্রহণ চলল।
বিজেপির প্রার্থী নেই। নবগ্রাম পিপলস কো-অপারেটিভ লিমিটেড সমবায় ভোটের অবশ্য সবকটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল বামেরা। কিন্তু ভোটের ফল বেরোতেই দেখা গেল, ৫৬ আসনের ৫৬টিতেই জিতেছে তৃণমূলই। নবগ্রাম অঞ্চল তৃনমূলের সভাপতি অপূর্ব মুখার্জি বলেন, '৬৩ বছর এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এত বছর ধরে এই ব্যাংকে কোন নির্বাচন হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম এই নির্বাচন করল। ৫৬টা আসনের মধ্যে ৫৬ টাইতেই আমরা জয়ী হয়েছি'।
এদিকে এসএফআই হুগলি জেলা কমিটির সম্পাদক বাম নেতা অর্ণব দাসের অভিযোগ, 'নবগ্রাম সমবায় ব্যাংক নির্বাচনে তৃণমূল সকাল থেকে দাদাগিরি মস্তানি দেখিয়েছে এবং নবগ্রামের সাধারণ যারা ভোট দিতে গিয়েছিল তাদের উপর যে নিশংস আক্রমণ নামিয়ে এনেছে এবং ভোটদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে তাতে আদতে তৃণমূলের লজ্জা। এতে তৃণমূলের সবুজ আবির মেখে উল্লাসের কোন জায়গা নেই। এই প্রথম নবগ্রামে সমবায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে প্রহসন তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় থাকবে। এটা তৃণমূলের জয় নয় এটা তৃণমূলের পরাজয়'।