ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলায় দুর্ঘটনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, উদ্বেগ
বর্তমান | ১৬ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কখনও দুই বাসের রেষারেষি থেকে দুর্ঘটনায় আহত হচ্ছেন যাত্রীরা। কখনও আবার বেপরোয়া চালকের দৌরাত্ম্যে প্রাণ যাচ্ছে পথচারীর। ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় এমন দুর্ঘটনার হার ক্রমশ বাড়ছে। ফলে দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠছে এই পুলিস জেলা।
কেন্দ্রের ইন্টিগ্রেটেড রোড অ্যাক্সিডেন্ট ডেটাবেসের তথ্য বলছে, বারুইপুর বা সুন্দরবন পুলিস জেলার তুলনায় এখানে ২০২৩ থেকে দুর্ঘটনার গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। মৃত্যুর সংখ্যাও কম নয়। মোট দুর্ঘটনার বেশিরভাগই হয়েছে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরই। দুর্ঘটনা যে বেড়েছে, সে কথা স্বীকার করেছে ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার ট্রাফিক বিভাগ। তা রোধ করতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে বলেও তারা জানিয়েছে।
রিপোর্টে উঠে এসেছে, রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে কিছু দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে বেপরোয়া বাইক চালকদের জন্যও বহু ছোট-মাঝারি দুর্ঘটনা ঘটেছে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ অসচেতনভাবে কাজকর্ম করার ফলে বিপদের মুখে পড়ছেন। শিরাকল থেকে সরিষা যাওয়ার রাস্তা, পৈলান থেকে বিষ্ণুপুর, ডায়মন্ডহারবার ঢোকার রাস্তা ইত্যাদি জায়গায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে বলে খবর। মহেশতলা ও বজবজ রোডের কিছু অংশও দুর্ঘটনাপ্রবণ বলে জানা গিয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালে ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলায় যেখানে প্রায় ২৯০টি দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে ২০২৪ সালে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০০-র বেশি। এবছর সেই সংখ্যা ইতিমধ্যে দেড়শোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। এদিকে, বারইপুর পুলিস জেলায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালে যথাক্রমে ৩৫০ ও ৪০০-টির মতো দুর্ঘটনা ঘটেছিল। অন্যদিকে, সুন্দরবন পুলিস জেলায় ওই দুই বছর যথাক্রমে ১৯৫ ও ১৫৭টি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এই প্রসঙ্গে ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, দুর্ঘটনা ঠেকাতে রাতে পুলিসের টহলদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাইকে করেও আধিকারিকরা নজরদারি করছেন। বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ফাইন ও অন্যান্য পদক্ষেপ করছেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টররা। বেশ কয়েকটি ব্ল্যাকস্পট চিহ্নিত হয়েছে এবং সেই জায়গাগুলিতে কীভাবে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়, সে ব্যাপারেও চলছে নানা চিন্তাভাবনা।