• হাসপাতালে যেতে হবে না, এবার প্রান্তিক এলাকায় দুয়ারে এক্স-রে
    বর্তমান | ১৬ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় শুধু এক্স-রে’র জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আর হাসপাতালেছুটতে হবে না রোগীদের। এবার থেকে দুয়ারেই মিলবে হাতে গরম এক্স-রে প্লেট। এই উপলক্ষ্যে এই জেলায় আসতে চলেছে ১৪টি পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন। যা বিভিন্ন ক্যাম্পে সহজেই নিয়ে যেতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাছাড়া বিভিন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেওরাখা হবে এই মেশিন। এতে একবার চার্জ দিলে অন্তত ২০০টি এক্স-রে করা যাবে। এতে থাকবে এ আই প্রযুক্তি।

    রোগীর কী সমস্যা, তা সঙ্গে সঙ্গে জেনে তাঁকে সেই মতো পরামর্শ দেবেন ডাক্তাররা। ন্যাশনাল টিউবারকিউলোসিস এলিমিনেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন দেওয়া হবে। ধাপে ধাপে সব জেলাই এই মেশিন পাবে। যক্ষ্মা রোগ চিহ্নিত করার জন্যই মূলত এটি ব্যবহার করার কথা থাকলেও অন্য কোনও রোগের জন্য যদি এক্স-রে প্রয়োজন পড়ে, তাহলে সেটাও করা যাবে।

    জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুই স্বাস্থ্য জেলার প্রান্তিক এলাকায় মূলত এই পোর্টেবল এক্স-রে ব্যবহার করা হবে। এর ফলে একদিকে সুন্দরবন, অন্যদিকে নদী ঘেরা দ্বীপাঞ্চলের মানুষজন উপকৃত হবে বলে আশাবাদী চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলা পাবে আটটি এবং ডায়মন্ডহারবার স্বাস্থ্য জেলাকে দেওয়া হবে ছ’টি পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন। দুই স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য আধিকারিকের দাবি, কিছুদিনের মধ্যেই এই মেশিন চলে আসবে। বাছাই করা কিছু প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে এই মেশিন দেওয়া হবে, যাতে দূর-দূরান্তের মানুষ শহরের হাসপাতালের বদলে এখানে গিয়ে এক্স-রে করাতে পারবেন।

    স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলেন, আগামী বছর মার্চের মধ্যে যক্ষ্মা মুক্ত বাংলা গড়ার লক্ষ্য নিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। সে কারণে এই পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন দিয়ে সম্ভাব্য রোগীদের দ্রুত চিহ্নিতকরণের কাজ করবেন চিকিৎসকরা। তবে অন্যান্য সমস্যা নিয়ে রোগীরা এলে কি এক্স-রে হবে না? সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে তাঁরা বলেছেন, কাউকেই ফেরানো হবে না। স্বাস্থ্য শিবির অথবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট রোগীর নির্দিষ্ট অঙ্গের এক্স-রে করানো যাবে এবং তাঁকে পরবর্তী চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন ডাক্তাররা।
  • Link to this news (বর্তমান)