• পানিহাটিতে তৃণমূলের কর্মিসভায় বিক্ষোভ, তোলপাড় দলের অন্দরে
    বর্তমান | ১৬ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: পানিহাটিতে তৃণমূলের কর্মিসভা চলছে। দলের পদস্থ নেতারা আগামীর দিকনির্দেশ দিচ্ছেন। রবিবার সন্ধ্যায় সেই সভায় দলের পানিহাটি শহর (পশ্চিম) সভাপতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রদর্শন ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দলের সাংসদ ও বিধায়করা কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ভোটের কয়েক মাস আগে দলের মধ্যে কার্যত এই আড়াআড়ি বিভাজন নিয়ে চিন্তা বাড়ছে তৃণমূলের ভোট ম্যানেজারদের। 

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সন্ধ্যায় পানিহাটির লোকসংস্কৃতি ভবনে কর্মিসভার ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। স্থানীয় সাংসদ সৌগত রায়, বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষ ছাড়াও দলের একাধিক পদাধিকারী ও কাউন্সিলার সেখানে হাজির ছিলেন। আচমকাই বিক্ষোভ শুরু হয়। পানিহাটির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা পানিহাটি শহর (পশ্চিম) সভাপতি প্রবীর ভট্টাচার্য ওরফে কুলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নেতা-কর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, প্রবীরবাবু ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঠিকমতো সময় দেন না তিনি। কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখেন না। বিভিন্ন অনৈতিক কাজে যুক্ত। বেগতিক বুঝে মঞ্চে থাকা নেতারা বিক্ষুব্ধদের থামিয়ে বলেন, কোনও অভিযোগ থাকলে তাঁরা যেন চিঠি দিয়ে দলকে জানান বা পরে নেতৃত্বর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। এদিনই অবশ্য বিক্ষুব্ধরা এনিয়ে সাংসদ, বিধায়ক সহ দলের সর্বোচ্চ স্তরে চিঠি দেন। 

    সূত্রের খবর, পানিহাটিতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল মারাত্মক আকার নিয়েছে। বিধায়ক ও বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে কার্যত আড়াআড়ি বিভাজন তৈরি হয়েছে। পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি ও দলের বিরোধী গোষ্ঠীকে কোণঠাসা করার কৌশলই এখন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর দিকে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। ভোটের আগে এই ফাটল মেরামত না হলে সমস্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। 

    এ বিষয়ে প্রবীর ভট্টাচার্য বলেন, ‘যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তাঁদের তেমন চিনি না। দলের কোনও কাজেও দেখিনি। কী উদ্দেশ্যে বা কোন প্রলোভনে তাঁরা এটা করলেন, তাঁরাই বলতে পারবেন।’ তৃণমূলের বারাকপুর-দমদম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে ক্ষোভ দেখানো ওই কর্মীরা পরে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।’
  • Link to this news (বর্তমান)