বহরমপুরে মহিলাদের স্বনির্ভর করতে হাঁস পালনের প্রশিক্ষণ
বর্তমান | ১৬ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, বহরমপুর: বাড়িতে খাঁকি হাঁস পালনের জন্য বহরমপুরে মহিলাদের আবাসিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিনটি ব্যাচে ৩০জনকে তিনদিনের আবাসিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শনিবার থেকে বহরমপুরের খাগড়ায় জবালা অ্যাকশন রিসার্চ অর্গানাইজেশনের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রথম ব্যাচের ১০জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর তাঁদের বিনামূল্যে ১০টি করে খাঁকি প্রজাতির হাঁসের বাচ্চা, হাঁসের একমাসের খাবার ও অন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেবেন উদ্যোক্তারা। সহযোগী সংস্থার ডিরেক্টর শুভাশিস মিত্র বলেন, মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাড়িতে হাঁস পালন করে প্রত্যেকে বার্ষিক ২০-৩০হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। হাঁসের সংখ্যা বাড়াতে পারলে আয় বাড়বে। এই প্রশিক্ষণের ফলে বিভিন্ন পশু খামারে এই মহিলাদের কর্মসংস্থানের দরজাও খুলে যাবে বলে উদ্যোক্তারা জানান।
১০টি হাঁস পালনের জন্য বাড়িতে ৪০বর্গফুটের একটি ডাক হাউস ও একটি চৌবাচ্চা তৈরি করতে হবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের একমাস বয়সের ১০টি করে হাঁসের বাচ্চা দেওয়া হবে। ছ’মাস বয়স থেকে ওই হাঁস ডিম দিতে শুরু করবে। প্রশিক্ষক ইকবাল হোসেন বলেন, বছরে একটি হাঁস ৩০০টি ডিম দেবে। তবে হাঁস ডাক প্লেগ, ডাক কলেরা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সেজন্য দু’মাস বয়সে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরে নিয়ে গিয়ে টিকাকরণ করাতে হবে। হাঁসের কৃমিরোগও হয়।
প্রথম ব্যাচে ১০জনের প্রশিক্ষণের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যাচে মোট ২০জনকে আবাসিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা শংসাপত্র পাবেন। পরে উদ্যোক্তারা তাঁদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে হাঁস প্রতিপালনের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখবেন।
জবালা অ্যাকশন রিসার্চ অর্গানাইজেশনের স্টেট কোঅর্ডিনেটর সিরাজুল ইসলাম বলেন, জেলার বিভিন্ন ব্লকের আগ্রহী মেয়েদের চিহ্নিত করে আমরা প্রশিক্ষণকেন্দ্রে নিয়ে এসেছি। ওয়াশিমা খাতুন, রেশমা খাতুন, রিজিয়া সুলতানারা জানালেন, হাঁস পালনের প্রশিক্ষণ পেয়ে তাঁদের খুবই উপকার হয়েছে। • নিজস্ব চিত্র