লালবাগের হোটেলে মধুচক্রের আসরে উদ্ধার ২ মহিলা, গ্রেপ্তার মালিক সহ ৪
বর্তমান | ১৬ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, লালবাগ: ফের একবার মধুচক্রের আসরের সন্ধান মিলল লালবাগের একটি হোটেলে। লালবাগের একের পর এক হোটেল থেকে মধুচক্রের সন্ধান মেলায় চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা। রবিবার মধুচক্র চলাকালীন মুর্শিদাবাদ থানার লালবাগের আস্তাবল এলাকার একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে দুই মহিলাকে উদ্ধার করল পুলিস। গ্রেপ্তার করা হয়েছে হোটেলের মালিক, ম্যানেজার এবং দুই খদ্দেরকে। লালবাগের একাধিক হোটেলের বিরুদ্ধে মধুচক্রের আসর বসানো ও মহিলাদের এনে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানোর অভিযোগ উঠছে। হোটেলের ব্যবসা চালু রাখতেই কি মহিলাদের এনে মধুচক্রের আসর বসানো হচ্ছে, উঠছে প্রশ্ন। রবিবার ধৃত চারজনের ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে লালবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের চারদিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করেন। লালবাগের মহকুমা পুলিস আধিকারিক আকুলকর রাকেশ মহাদেব বলেন, সোর্স মারফত খবর ছিল জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহিলাদের নিয়ে এসে ওই হোটেলে আটকে রেখে দেহ ব্যবসা করানো হচ্ছে। খবর পাওয়া মাত্র শনিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদ থানার আইসির নেতৃত্বে ওই হোটেলে অভিযান চালানো হয়। শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আরও কয়েকটি হোটেলের উপরও নজরদারি চালানো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই ওই হোটেলগুলিতেও অভিযান চালানো হবে। সূত্রের খবর মোতাবেক, শনিবার বিকেলে আস্তাবল সংলগ্ন এলাকার একটি হোটেলে অভিযান চালায় মুর্শিদাবাদ থানার পুলিস। অভিযান চালিয়ে মধুচক্রের আসর থেকে দুইজন মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে হোটেলের মালিক, ম্যানেজার এবং দুই খদ্দেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। হোটেলের মালিক ও ম্যানেজার দুজনেই মুর্শিদাবাদ থানার বাসিন্দা। দুই খদ্দের রানিতলা ও বেলডাঙা থানার বাসিন্দা। হোটেল ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে মধুচক্রের আসর বসত বলে পুলিস হোটেল মালিক ও ম্যানেজারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে। পুলিসেরর ধারণা, দু’ জনকে জিজ্ঞেসাবাদ করলে শহরজুড়ে মধুচক্রের আরও অনেক তথ্য মিলবে। ওই হোটেল থেকে বিয়ার ও অন্যান্য আপত্তিকর জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে পুলিস। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এভাবে হোটেলগুলিতে অবৈধ কারবার চললে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি শহরের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে। তাছাড়া পর্যটকদের কাছে ঐতিহাসিক জেলা মুর্শিদাবাদ সম্পর্কে খারাপ বার্তা যাচ্ছে। এজন্য ভবিষ্যতে পর্যটকের আনাগোনা কমতে পারে। শহরের সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ধারাবাহিকভাবে পুলিসি অভিযান চালানো হোক। স্থানীয় বাসিন্দা হজরত আলি, অচিন্ত্য রায় বলেন, নবাবের শহরে নিয়ম নীতি না মেনে ছাতার মতো হোটেল গজিয়ে উঠেছে। ওইসব হোটেলের বেশিরভাগেই মধুচক্রের আসর বসে।