• নকশালবাড়িতে ভারত-নেপাল সীমান্তে সরকারি জমি দখল, মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিবাদে সরব এলাকাবাসী
    বর্তমান | ১৬ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: ভারত-নেপাল সীমান্তে নকশালবাড়ির মণিরামের সুরজবরে সরকারি জমিতে খুঁটি পুঁতে চলছে দখল। অনেকে ঘরও তৈরি করে নিয়েছেন। এবার দখল রুখতে শিল্পোদ্যোগী এনে শিল্প গড়তে চায় নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি। রাজ্য পুলিসের গোর্খা ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়তে কয়েক বছর আগে সুরজবরে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। এরপর থেকে আশপাশের জমিতে নজর পড়েছে মাফিয়াদের। ইতিমধ্যে সরকারি জমি দখল করে বসতি গড়ে উঠেছে। অবশিষ্ট সরকারি জমির দখল শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে হাত গুটিয়ে আছে ব্লক প্রশাসন, এমনটাই দাবি করেছেন মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম ঘোষ। সরব স্থানীয় বাসিন্দারাও। 

    প্রধান বলেন, চোখের সামনে সরকারি জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। ওসব জমি চিহ্নিত করে দখলমুক্ত করতে একাধিকবার ব্লক প্রশাসনকে বলেছি। কিন্তু কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতি রয়েছে। বিডিও একাধিকবার এলাকা পরিদর্শন করেছেন। অথচ কেউই উদ্যোগী নন। সরকারি জমি চিহ্নিত করবে ভূমিদপ্তর। তারা উদ্যোগ নিলে সহযোগিতা করব। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনন্দ ঘোষ বলেন, সুরজবর ও শিওগড় মৌজার সরকারি জমি নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএলআরও ও এসডিএলআরও’কে চিঠি করা হবে। নবান্নেও চিঠি পাঠাব। সম্প্রতি এক শিল্পোদ্যোগী শিল্প গড়তে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তাঁর প্রতিনিধিদের চলতি সপ্তাহে আসার কথা। শিল্পের জন্য ১০ একর জমি লাগবে। সুরজবরে জমি দেখাব। এনিয়ে বিএলআরও’র সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রকল্প হলে স্থানীয় ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান হবে। এনিয়ে নকশালবাড়ির বিডিও প্রণব চট্টরাজের মন্তব্য, সরকারি জমি চিহ্নিত করতে বিএলআরও’র কাছে রিপোর্ট চেয়েছি। নতুন করে জমি দখল হলে ভূমিদপ্তরকে তদন্ত করতে বলব। 

     নকশালবাড়ির সুরজবরে খুঁটি পুঁতে সরকারি জমি দখল চলছে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)