সংবাদদাতা, বালুরঘাট: ৭০ বছরের এলাসা মাহালি। বাড়িতে একা থাকেন। সম্প্রতি পেয়েছেন বাংলার বাড়ির দ্বিতীয় কিস্তির টাকা। তার কিছুটা খরচ হয়েছে, বাকিটা ঘরে রাখা ছিল। সেই টাকায় নজর পড়ে চোরের। রবিবার ভোরে বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে টাকা চুরির চেষ্টা করে সে। ঘুম ভেঙে গেলে চোরের কীর্তি নজরে আসে বৃদ্ধার। বাধা দেওয়ায় তাঁকে গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করে সেই দুষ্কৃতী। মারধর করে বৃদ্ধাকে রক্তাক্ত করে দেয়। চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসায় পালিয়ে যায় চোর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিপুর গ্রামে। ভোরে প্রতিবেশীরা ওই চোরকে ধরে ফেলেন। তাকে গাছে বেঁধে পুলিসকে খবর দিলে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় অভিযুক্তকে। গুরুতর জখম বৃদ্ধাকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আইসি সুমন্ত বিশ্বাস বলেন, ওই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, চার ছেলেমেয়ে থাকলেও বৃদ্ধাকে দেখার কেউ নেই। ছেলেমেয়েরা বেশিরভাগই বাইরে থাকেন। তাই কোনওরকমে রেশনের চাল এবং বার্ধক্যভাতা দিয়ে বৃদ্ধা নিজের খরচ চালান। সম্প্রতি বাংলার বাড়ি প্রকল্পে মহিলা ঘর পেয়েছেন। প্রথম কিস্তির টাকায় ঘরের কাজ অনেকটাই হয়েছে। এবারে দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকার মধ্যে কিছুটা খরচ করেছেন। বাকি টাকায় ঘর নির্মাণ সম্পূর্ণ বলেই তিনি আশা করেছিলেন। ওই টাকাতেই নজর ছিল চোরের।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত গুলিয়াস মাহালি স্থানীয় বাসিন্দা। সে মাদকাসক্ত বলেই এলাকায় পরিচিত। এদিকে ওই বৃদ্ধা যে জায়গায় বাড়ি বানাচ্ছিলেন, তার পাশে টিনের ছাউনি দিয়ে ঘুমোত গুলিয়াস। বৃদ্ধার নাতি রতন মাহালি বলেন, ঠাকুমার চিৎকার শুনেই আমরা গিয়েছিলাম।
তারপর দেখি গুরুতর জখম হয়ে তিনি কথা বলতে পারছে না। ওই চোর এমনভাবে গলা টিপে ধরেছিল, ঠাকুমার রক্ত বের হচ্ছিল। এখন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। পরে গ্রামের সবাই ওই চোরের সন্ধানে বের হন। তাকে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিস।-নিজস্ব চিত্র