• বর্ষায় ঝড়-বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দুই জেলার শীর্ষকর্তাদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক
    বর্তমান | ১৬ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: বর্ষা আসতেই ঝড়, বৃষ্টিতে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ট্রান্সফরমার বিকল হওয়া, গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা প্রায়ই হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নির্দেশে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার প্রায় ১৪ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ পরিষেবা সঠিক রাখতে আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করলেন কোম্পানির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর (ডিস্ট্রিবিউশন) পার্থ দত্ত। এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির চিফ ইঞ্জিনিয়ার (উত্তর) রবিশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি জোনের জোনাল ম্যানেজার শৌভিক বেরা, কোচবিহারের রিজিওনাল ম্যানেজার বিশ্বজিৎ দাস, আলিপুরদুয়ারের রিজিওনাল ম্যানেজার পার্থপ্রতিম মণ্ডল সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। 

    কোচবিহার জেলায় প্রায় সাড়ে আট লক্ষ ও আলিপুরদুয়ার জেলার সাড়ে পাঁচ লক্ষ গ্রাহকের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তারজন্যই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। শনিবার দুপুর ২টো থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক চলে। সেখানে জেলা, ব্লক, গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে একেবারে গ্রামীণ স্তর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। অতিরিক্ত কর্মী, যন্ত্র ও সামগ্রী স্ট্র্যাটেজিক লোকেশনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কোচবিহারের রিজিওনাল ম্যানেজার বলেন, বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখতে যা যা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা দরকার তা করতে হবে। তাঁর নির্দেশ মতোই কোম্পানির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর (ডিস্ট্রিবিউশন) এখানে এসেছিলেন। তিনি কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার আধিকারিকদের নিয়ে ম্যারাথন  বৈঠক করেছেন। 

    সম্প্রতি কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতে ১৩২ কেভি ট্রান্সমিশন লাইনে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। প্রচণ্ড গরমে গোটা কোচবিহার শহর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছিল। আলিপুরদুয়ারেও সম্প্রতি কিছু সমস্যা হয়। কিছুদিন আগে ঝড়ে কোচবিহারে ডব্লুবিএসইডিসিএলের প্রায় দুই কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। অতিরিক্ত গাড়ি, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি জেলাগুলির বিভিন্ন জায়গায় মজুত রাখতে বলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা মোবাইল ভ্যান পরিষেবা মজুত রাখতে হবে। অতিরিক্ত মোবাইল ভ্যান রাখা হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকায় যাতে কর্মীরা পৌঁছন সেদিকে নজরদারি রাখা, সাধারণ মানুষ ও কর্মীরা যাতে দুর্ঘটনার কবলে না পড়ে সেদিকে নজর রাখতে হবে। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। খাগড়াবাড়ি এলাকায় নাইট সার্ভিস নেই। সেখানেও ভ্যান দেওয়া হবে। তারআগে পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। পুরো ব্যবস্থাপনা দুর্গাপুজো পর্যন্ত চলবে বলে জানা গিয়েছে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)