মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হন এক রোগী। সেই রোগীর মৃতদেহ পাওয়া গেল চেল নদীতে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্বাভাবিক ভাবেই হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও বিষয়টি নিয়ে (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি।

জানা গিয়েছে, ১১ জুন বুধুয়া ওরাওঁ (৪৫) শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেতগুড়ি চা বাগান এলাকার বাসিন্দা। ওই দিন রাত পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। ১২ জুন সকালে রোগীর ছেলে এসে দেখেন হাসপাতালের বেড খালি। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, আশেপাশের রোগী ও কর্মীদের জিজ্ঞাসা করেও কোনও সদুত্তর মেলেনি।

দুই দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও যখন কোনও খবর মেলেনি, তখন রোগীর পরিবার মালবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অবশেষে ১৪ জুন সন্ধ্যায় মালবাজার থানার পুলিশ থেকে খবর আসে, চেল নদী থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মালবাজারে। ক্ষুব্ধ পরিবার ও এলাকাবাসীরা হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাতভর বিক্ষোভ দেখান। হাসপাতাল সুপারের গ্রেপ্তারের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। প্রশ্ন উঠেছে—কী ভাবে একটি সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন একজন রোগী নিখোঁজ হয়ে যান এবং তাঁর মৃত্যুর দায় কে নেবে?

বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ও রাজ্যের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক জানিয়েছেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি জানতে হবে। প্রসঙ্গত, এর আগেও মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কাজকর্ম ও নিরাপত্তা নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।