সমবায় নির্বাচনে ভোট লুটের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার কোন্নগরের নবগ্রাম পিপলস কো-অপারেটিভ লিমিটেডের ঘটনা। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা বারোটা নাগাদ নবগ্রামের ৩টি কেন্দ্রে ৫৬টি আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সব আসনেই প্রার্থী দেয় সিপিএম এবং তৃণমূল। ভোটে অশান্তি রুখতে সকাল থেকে প্রচুর পুলিশও মোতায়েন ছিল এলাকায়।
সিপিএমের অভিযোগ, ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বুথ ঘিরে ফেলে তৃণমূলের কর্মীরা। বুথের দরজা আটকে শুরু হয় হম্বিতম্বি। ভোটারদের বাইরে আটকে ভিতরে অবাধে ছাপ্পা দিতে শুরু করে তারা। এর প্রতিবাদে নবগ্রামের নৈটি রোড অবরোধ করে বাম কর্মী-সমর্থকরা।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ তুলে SFI-এর হুগলি জেলা কমিটির সম্পাদক অর্ণব দাস বলেন, ‘সকাল থেকেই ৩টি স্কুলের সব বুথ জ্যাম করে দিয়েছিল তৃণমূল। আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মীকেও মারধর করা হয়। ভোটের নামে প্রহসন চলছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ বামপন্থীদের পক্ষে রায় দিয়েছে। এটাই তৃণমূল মানতে পারছে না। সেই কারণেই ভোট লুট করছে।’
অবশ্য সিপিএমের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। পাল্টা বামেদের বিরুদ্ধে ‘গুন্ডাগিরি’-র অভিযোগ তুলে কোন্নগর যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শতদ্রু কর বলেন, ‘আমাদের দলের এক কর্মীকে সিপিএমের হার্মাদরা মারধর করে জামা ছিড়ে দিয়েছে। আমাদের কেউ মারধর করেনি। মিথ্যা অভিযোগ করছে।’ ভোট লুটের অভিযোগও উড়িয়ে দেন তিনি। শতদ্রুর কথায়, ‘হেরে যাবে বুঝেই বাহানা বানাচ্ছে।’