পাখির সমস্যায় বিমান ওঠানামায় ঝুঁকি? আনাগোনা রুখতে বৈঠকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ
প্রতিদিন | ১৫ জুন ২০২৫
বিধান নস্কর, বিধানগর: আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে খোলা আবর্জনার স্তূপ নিয়ে ফের কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলি। স্পষ্ট করা হয়েছে, কোনওভাবে পাখি আবর্জনার স্তূপে এসে যাতে সমস্যা না তৈরি করে দেখা হচ্ছে। দ্রুত আবর্জনা সরিয়েও নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, আমেদাবাদে বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ প্রাথমিকভাবে পাখির ধাক্কায় দুর্ঘটনায় সন্দেহ প্রকাশ করলেও আসল কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে, অতীতে পাখির ধাক্কায় বিমান দুর্ঘটনার একাধিক উদাহরণ রয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও তার সাক্ষী। তবে সম্প্রতি বারবার পুরসভাগুলির সঙ্গে আলোচনায় সমস্যা মিটেছে কিছুটা।
কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন পাঁচটি পুরসভা রয়েছে। প্রত্যেকটি পুরসভারই সমস্যা উন্মুক্ত আবর্জনা স্তূপ। আর এই স্তূপে পড়ে থাকা গৃহস্থালীর উচ্ছিষ্ট আবর্জনা হল পাখিদের খাদ্য। যার ফলে বিমানবন্দর চত্বরে পাখিদের আনাগোনা লেগেই থাকে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্নভাবে সতর্ক করেছে খোলা জায়গায় যাতে আবর্জনা না ফেলা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বোর্ডও লাগানো হয়েছে।
বিমানবন্দর সীমানার থেকে ৭০০ মিটার দূরে এইচএমবি ভ্যাট রয়েছে। যা দমদম পুরসভার অধীনস্থ। আড়াই কিলোমিটার দূরে সাঁপুইপাড়া, রাজবাড়ি, সিদ্ধেশ্বরী লেক সেখানে জলাশয়ের ধারে আবর্জনা স্তূপ। দমদম পুরসভার অধীন এটি। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ডাম্পিং গ্রাউন্ড। এটি আবার নিউ বারাকপুর পুরসভা অধীনস্থ। এখানেই শেষ নয়, বিধাননগর মিউনিসিপাল কর্পোরেশন বিমানবন্দরের পাঁচিল থেকে ৩০ ফুট দূরেই রয়েছে কম্প্যাক্টর।
বিধাননগর পুর নিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সম্রাট বড়ুয়া জানান, কম্প্যাক্টর রয়েছে, আবর্জনাগুলোকে ওখানে এনে কয়েক ঘণ্টা রাখা হয়। পরবর্তী সময় সেখান থেকে তুলে নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান হরিন্দর সিং বলেন, “দমদম পুরসভায় এইচএমভি ভ্যাট কভারেজের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ হবে। আর কোনও অসুবিধা নেই। পাখিগুলোর জন্যই বিমান কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন। আমরা সে কথা শুনেছি।”