অয়ন শর্মা: অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের (Bikash Bhawan) বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক (SSC Deprived Teachers)। টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তাঁরা। শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
অনশনরত চাকরিহারা:
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
অনশনরত ১০ জন প্রতিনিধির মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি আরজি কর (RG Kar Hospital) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হল বলরাম বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে।
পাঁচ দফা দাবি:
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের (Bikash Bhavan) বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে (SSC Job Deprived Teachers) আমরণ অনশনে (Hunger Strike) বসেছেন ১০ জন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক (SSC Deprived Teachers)। তাঁদেরই একজন এই বলরাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অনশন তিন দিনে পড়েছে । শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন।
স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা:
যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।
নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যালেনটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মে মাসের শুরু থেকে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিহারারা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।
ব্লাড সুগার লেভেল কমে গিয়েছে চিন্ময় মন্ডল। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাসল ক্রাম্প শুরু হয়েছে অনশনকারীদের। যার যার ফলে, মেডিকেল চেকআপ করে দেখা গিয়েছে উঠে দাঁড়ালেই যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে। সোডিয়াম পটাশিয়াম এর অভাব দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের।
যারা অনশন করছেন:
১. মিতা সরকার - বিরাটি বিদ্যালয় ফর গার্লস, উত্তর ২৪ পরগনা
২.চিন্ময় মণ্ডল - হালিশহর আদর্শ বিদ্যাপীঠ- নদীয়া
৩.সুকুমার সোরেন - নালাগোলা হাই স্কুল - দক্ষিণ দিনাজপুর
৪.কৌশিক সরকার - শনিদেবী জইন হাই স্কুল,দিনহাটা ,কোচবিহার
৫.বলরাম বিশ্বাস - খোপালাসী হিন্দি হাইস্কুল,শিলিগুড়ি (ইতিমধ্যে আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন)
৬.বিকাশ রায় - লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হিন্দি হাই স্কুল - শিলিগুড়ি
৭.মানিক মজুমদার - শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুল
৮.কিশোর কুমার রায় - সীতাই হাই স্কুল, কোচবিহার
৯.অনির্বাণ সাহা - দুবরাজ হাট বেরু গ্রাম হাই স্কুল , পূর্ব বর্ধমান
১০.অচিন্ত্য কুমার দাস - সিজনা উজনা পঞ্চ পাড়া স্কুল, পূর্ব বর্ধমান