• ৫ লক্ষ টাকা তোলা না পেয়ে বাড়ি ভাঙচুর-মারধরের অভিযোগ TMC ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে
    আজ তক | ১৫ জুন ২০২৫
  • ৫ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ তৃণমূল ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচকে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি হলেন কালিয়াচক ১নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মহম্মদ সারিউল। অভিযোগ, সভাপতির তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় প্রতিবাদীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। মহিলাদেরও মারধর করা হয়েছে বলে খবর। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে সভাপতির অনুগামী দুষ্কৃতীদের দাপাদাপির অভিযোগ উঠেছে এলাকায়। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপির সেই সিসিটিভ ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আক্রান্ত গ্রামবাসীরা নিরাপত্তার দাবি তুলে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।

    কয়েকদিন ধরে এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল মালদহের কালিয়াচক থানার দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর এলাকায়। কালিয়াচক ১নং ব্লকের  তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মহম্মদ সারিউল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর শ্বশুড়বাড়ির সদস্যরা তৃণমূল থেকে জয়ী হলেও বর্তমানে কংগ্রেস করে। আর এই নিয়েই বিবাদ শুরু হয়। এই ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি দাবি করেন ৫ লক্ষ টাকা তোলা দিতে হবে। তা দিতে অস্বীকার করে অন্য পক্ষ। বরং বিষয়টি নিয়ে জেলা নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করেন তাঁরা। এলাকার বিধায়ক আব্দুল গনিও রাজ্য নেতৃত্বকে জানান যে কংগ্রেস দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সারিউল।

    এরপরই এলাকার দুষ্কৃতীদের নিয়ে তাণ্ডব চালান সারিউল, অভিযোগ এলাকাবাসীর। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ঘটনার সময় নীরব দর্শকের ভুমিকায় ছিল পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি পরও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা। সামাজিক মাধ্যমে দুষ্কৃতীদের ছবি প্রকাশ্যে আসলেও অধরা তারা। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসীরা। তাই পুরো ঘটনা বর্ণনা করে পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    যদিও এই সমস্ত অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের এই ব্লক সভাপতি। তাঁর সাফাই মিথ্যা কথা বলছেন গ্রামবাসীরা। বিষয়টি প্রশাসন দেখছে। এটি বিরোধীদের চক্রান্ত। মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন, 'এই ধরনের লুটপাট বা বিবাদ যারা চালাচ্ছে সে আমাদের দলেরই হোক বা বিরোধী দলের হোক। পুলিশকে বলব ব্যবস্থা নিক।'

    বিজেপির দক্ষিণ মালদার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। বছরের শুরুতে তৃণমূল নেতাকে জানে শেষ ঘটনার পর একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। তারপরও পুলিশ চুপ। তৃণমূল করে বলে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।'

    রিপার্টারঃ মিল্টন পাল
  • Link to this news (আজ তক)