• টার্গেট প্রবীণরা? ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ দেখিয়ে দেড় কোটির উপরে গায়েব, মাথায় হাত প্রাক্তন PDW ইঞ্জিনিয়ারের
    এই সময় | ১৫ জুন ২০২৫
  • ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ দেখিয়ে প্রায় এক মাস ব্ল্যাকমেল। আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ারের থেকে ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার সাইবার ক্রাইম শাখার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটিই এখনও পর্যন্ত জেলায় সবথেকে বড় অঙ্কের আর্থিক প্রতারণার ঘটনা। ইতিমধ্যেই আসানসোলের সাইবার ক্রাইম বিভাগ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

    আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার বছর ৬৫-র সুকুমার দে গত ৯ মে একটি ফোন পান। এক ব্যক্তি নিজেকে BSNL আধিকারিক পরিচয় দিয়ে সুকুমারকে জানান, তাঁর আধার কার্ড দেখিয়ে মুম্বইয়ে একটি সিম তোলা হয়েছিল। আর সেই সিমের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যকলাপ হয়েছে। প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে। এর পর পুলিশ আধিকারিক পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করে সুকুমারকে। সে দাবি করে, বিদেশের জঙ্গি সংগঠনকে টাকা পাঠানো-সহ পর্ন ছবি তৈরির অভিযোগ আছে সুকুমারের বিরুদ্ধে। তাঁকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হয়েছে বলে জানায় ওই ব্যক্তি।

    প্রায় এক মাস ধরে দফায় দফায় টাকা লেনদেনের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট পাঠানো হয় সুকুমারকে। আবার কখনও তাঁর নামে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া দেশ বিরোধী কাজের পরিপ্রেক্ষিতে ভুয়ো মামলার কাগজ ধরানো হয়। সাজার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য টাকা চাওয়া হয় সুকুমারের থেকে। এই প্রবীণ ব্যক্তি নিজের সমস্ত সঞ্চয় ভেঙে টাকা দেন দুষ্কৃতীদের। পাশাপাশি সোনার গয়না বন্ধক রেখেও দেওয়া হয় টাকা।

    পরবর্তী সময়ে আরও টাকা দাবি করে দুষ্কৃতীরা। সুকুমারের গতিবিধির উপরে নজর রাখার জন্য ভিডিয়ো কলও করেছিল দুষ্কৃতীরা। আরও টাকা হাতানোর জন্য দুষ্কৃতীরা সুকুমারের কাছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গর্ভনর সি রঙ্গরাজনের সই করা একটি আদেশনামা পাঠানোর দাবি করে। আর তাতেই সন্দেহ হয় সুকুমারের। তিনি বুঝতে পারেন, আদতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এর পরেই তিনি আসানসোল সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রবীণ বলেই কি টার্গেট সুকুমার? উঠছে প্রশ্ন।

  • Link to this news (এই সময়)