• বনসলের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে কি জোট বেঁধে লড়াইয়ের বার্তা পৌঁছল!
    এই সময় | ১৫ জুন ২০২৫
  • এই সময়: বাংলার ২৬ জন বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে শনিবার আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠক করলেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। ’২৬-এর বিধানসভা ভোটের প্রার্থী ঝাড়াই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    বাংলায় তো বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা এই মুহূর্তে ৬৫। সূত্রের খবর, সবাই নন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে একান্তে নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা জানাতে চেয়েছিলে‍ন ২৬ জন বিধায়কই।

    বঙ্গ-বিজেপির সাংগঠনিক দলের সঙ্গে পরিষদীয় দলের ‘দূরত্ব’ সেই ২০২১ থেকে। ’২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে সেই ‘দূরত্ব’ ঘোচাতে চাইছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই বিধায়কদের সঙ্গে এ দিন বনসলের বৈঠকের উদ্যোগ নেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজেই।

    সল্টলেকে রাজ্য বিজেপি দপ্তরে এ দিন বনসলের ঘরে একে একে ঢোকেন দলীয় বিধায়করা। কেউ দশ মিনিট, কেউ পনেরো মিনিট, কেউ আবার আধঘণ্টারও বেশি সময় কথা বলেছেন দলের এই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের সঙ্গে।

    দক্ষিণবঙ্গের এক বিজেপি বিধায়কের কথায়, ‘বিধা‍নসভা ভোটের আর এক বছরও দেরি নেই। তাই বিধায়কদের সঙ্গে দলীয় সংগঠনের সমন্বয় গড়ার কাজটা দ্রুত সারতে হবে। সেটা কত তাড়াতাড়ি মসৃণ ভাবে করা যায়, তা নিয়েই বনসলজির সঙ্গে কথা বললাম।’

    আর এক বিধায়ক বলেন, ‘পার্টির জেলা সভাপতি আমাকে কোনও সাংগঠনিক কর্মসূচিতে ডাকেন না। আবার আমি কোনও কর্মসূচির ডাক দিলে সেখানে সাংগঠনিক নেতারা আসেন না। ফলে দলের কর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা বুঝতে পারছেন না, কোনটা আসল বিজেপি। ২০২৬-এ তৃণমূলকে পরাস্ত করতে আমাদের সবাইকে এক হতে হবে। এটাই বললাম বনসলজিকে।’

    সুকান্তর প্রতিক্রিয়া, ‘বিধায়কদের অনেক দিনের দাবি ছিল, পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন। সুনী‍ল বনসলজি তাই কলকাতায় এসে শনিবার বিধায়কদের সঙ্গে কথা বললেন। বিজেপিতে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সবার একান্তে কথা বলার সুযোগ রয়েছে।’

    তবে বঙ্গ-বিজেপির বিভিন্ন গোষ্ঠীকে এক সূত্রে বাঁধা যে সহজ কাজ নয়, সেটা শনিবারও কলকাতায় এসে বিলক্ষণ টের পেয়েছেন বনসলও। কারণ, এ দিন মুরলীধর সেন লেন‍ের রাজ্য বিজেপি দপ্তর এবং বিজেপির উত্তর কলকাতা উত্তর শহরতলি সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন জায়গায় একটি পোস্টার পড়েছে।

    যার ছবি আবার ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই পোস্টারে বিজেপির জেলা সভাপতি চণ্ডীচরণ রায় এবং রাজ্য বিজেপি সম্পাদক দীপাঞ্জ‍ন গুহর ছবি-সহ বিতর্কিত পোস্টার দেওয়া হয়েছে। এই পোস্টারের খবর পৌঁছেছে বনসলের কান পর্যন্ত।

    তাই বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিচ্ছেন না সুকান্তরা। সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে কারা পোস্টার সেঁটেছেন, তা জানার চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

    তিনি বলেন, ‘এটা দল বিরোধী কাজ। আমরা সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখব। ক্ষোভ–বিক্ষোভ থাকতেই পারে। তা প্রকাশ্যে আনা মানে তৃণমূলের হাত শক্ত করা। কোনও অভিযোগ থাকলে দলের মধ্যেই জানাতে হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)