এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এসেছিলেন। কিন্তু হলো উল্টোটা। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান সহকর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল এক BSF জওয়ানের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতের ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃত বিএসফ জওয়ান রতনলাল শেখাওয়াত (৩৮) রাজস্থানের বাসিন্দা। অভিযুক্ত জওয়ান শিবম কুমার মিশ্রকে গ্রেপ্তার করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।

গত এপ্রিলে সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, জাফরাবাদ-সহ মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘরবাড়িতে আগুন, লুটপাট, খুন বাদ যায়নি কিছুই। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এলাকায় শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় BSF-কে পাঠানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দারাও এলাকায় BSF ক্যাম্পের দাবি তুলেছিলেন। সেই মতো ক্যাম্পও বসে। সেখানেই গুলি চলে এ দিন।

BSF সূত্রে খবর, ১১৯ ব্যাটেলিয়নের হেড কনস্টেবল রতনলাল এবং কনস্টেবল শিবম জওয়ান টহল দিচ্ছিলেন রাতে। সেই সময়ে কোনও কারণে বচসা বাঁধে। প্রথমে তর্কাতর্কি, তার পর হাতাহাতি। অভিযোগ, সেই সময়ে আচমকাই নিজের ইনসাস রাইফেল থেকে ১৩ রাউন্ড গুলি চালিয়ে দেন শিবম। রতনের কোমর এবং শরীরে নিম্নাঙ্গে মোট ৫টি গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তৎক্ষণাৎ তাঁকে স্থানীয় অনুপনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় রেফার করা হয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় রতনলালের।

ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ শিবম। গভীর রাতে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তাঁকে গ্রেপ্তার করে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃতের বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয়েছে। জঙ্গিপুরের এসপি অমিত কুমার সাউ বলেন, ‘তদন্ত চলছে। পুরোনো বিবাদ নাকি অন্য কোনও কারণে খুন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।