ইলিশ আহরণের প্রস্তুতি পর্ব প্রায় শেষের পথে। সব ব্যবস্থাপনা ঠিক থাকলে শনিবার রাতেই ইলিশের খোঁজে বেরোনোর কথা কয়েক হাজার ট্রলারের। সুন্দরবন থেকে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেবে এই ট্রলার গুলি। সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনেই হবে এই ইলিশ আহরণ।
শনিবার সন্ধ্যার মধ্যেই বঙ্গোপসাগরের কাছে জি-প্লটের ঘাটে পৌঁছে গিয়েছিল ট্রলারগুলি। কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, ‘এবারে প্রথম পর্যায়ে ৪০ শতাংশ ট্রলার ইলিশ ধরার উদ্দেশ্যে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিচ্ছে। ভালো পরিমাণ মাছ উঠলে পরে বাকি ট্রলারগুলিও পাঠানো হবে।’ মৎস্যজীবীদের আশা, অন্য বছরগুলির তুলনায় ইলিশ আহরণে এবার ভালো ফল হবে।
তাঁরা বলেছেন, অন্যান্য বছরগুলিতে আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় পরিমাণে কম ইলিশ পাওয়া গিয়েছিল। সেই অর্থে ছিল না ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। তবে এবার আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় ইলিশ আহরণ খুব ভালো হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ট্রলারগুলি সংস্কার করে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিজেল, খাদ্য এবং মাছ ধরার জাল পরিপাটি করে গুছিয়ে ফেলেছেন মৎস্যজীবীরা। এবার অপেক্ষা ছিল শুধু মধ্যরাতের। তারপরই গভীর সমুদ্রে রওনা দেওয়ার কথা তাঁদের।
সাধারণত, প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত মাছের প্রজননকাল। তাই সেই সময় মাছ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকে। এবারও সেই নিষেধাজ্ঞা মেনেই হবে ইলিশের খোঁজ।