কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের সামনেই সংগঠন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ‘বিদ্রোহী’ বিজেপি বিধায়কদের
বর্তমান | ১৫ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বছর দু’য়েক ধরে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমেই চলেছে। এই আবহে এবার দলীয় বৈঠকে ‘বিদ্রোহী’ পদ্ম বিধায়করা সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন। ২৬-এর বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে শনিবার সল্টলেকে ওই বৈঠক হয়। সেখানে দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মসূচিতে দলীয় বিধায়কদেরই দীর্ঘদিন ধরে ব্রাত্য রাখা হচ্ছে বলে দাবি করেন বিধায়কদেরই একটা বড় অংশ। এনিয়ে বৈঠকে তুমুল হট্টগোল হয়। কোনওরকমে পরিস্থিত সামাল দেয় গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্ব।
শনিবার বিকেলে সল্টলেকে বিজেপি কার্যালয়ে ডাকা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশল। সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরু থেকেই বিধায়কদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ শুরু হয়। বিভিন্ন কর্মসূচির খবর দলীয় বিধায়কদেরই দেওয়া হয় না বলে দাবি করে একাংশ। এমনকী, জেলা সভাপতিরা বিভিন্ন কর্মসূচি করলেও স্থানীয় বিধায়করা টের পান না। মণ্ডল সভাপতি থেকে বুথ কমিটি গঠন—সব ক্ষেত্রেই বিধায়কদের অন্ধকারে রাখা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এদিকে, অনেক বিধায়ক দলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে রয়েছেন। তাঁদের ভূমিকা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থার হাল এমনিতেই ভালো নয়। এই আবহে বিধায়কদের দলের বিরুদ্ধেই বিষোদ্গারের ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলের এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি আগামী দিনে যে আরও বাড়বে, তার আঁচ এখনই পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি ক্ষুব্ধ বিধায়কদের একাংশের। তাছাড়া, এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে দলের বিধায়ক সংখ্যা আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না গেরুয়া শিবির।
এদিনে বৈঠকে বিধায়কদের একাংশের এই ক্ষোভ কোনওরকমে সামাল দেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। পরে তিনি বুথ কমিটি ও সদস্য সংগ্রহ নিয়ে কিছু তথ্য দেন। সূত্রের খবর, সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদেরও তিনি বার্তা দিয়েছেন, বিধায়কদের কথাকে গুরুত্ব দিয়ে চালাতে হবে সাংগঠনিক কাজকর্ম।