বেণীনন্দন স্ট্রিটে নিহত সৌমেনের ফুসফুস-পাকস্থলিতে গভীর ক্ষত
বর্তমান | ১৫ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভবানীপুরের বেণীনন্দন স্ট্রিটে এলোপাথারি ছুরির কোপে সৌমেন ঘড়ার ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, পাকস্থলি, অন্ত্র গুরুতর জখম। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে চিকিৎসক এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত সৌমেন ঘড়ার ময়নাতদন্ত হয়। উল্লেখ্য, রাবিশ বোঝাই লরির ধাক্কায় পাওভাজি দোকানের সাইনবোর্ড ভাঙা যায়। যা নিয়ে বচসার জেরে শুক্রবার দিনের আলোয় প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে যুবককে এলোপাথারি ছুরি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পিকলু ওরফে অশেষ সরকারকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ লালবাজার। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দারা। শুক্রবার দুপুরে ভবানীপুরের ১৫ নম্বর বেণীনন্দন স্ট্রিটে এই চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা ঘটে। কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দাদের এক সূত্রের দাবি, ‘সম্প্রতি ভবানীপুরের বেণীনন্দন স্ট্রিট এলাকায় ‘বাডিং রাফ’ বা উঠতি মস্তান হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করেছিল পিকলু। কিন্তু এলাকায় তোলাবাজিতে তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। তাই নিজেকে ‘ত্রাস’ হিসেবে পরিচিতি পেতে এই হামলা চালিয়েছে। কিন্তু ছুরিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু হবে তা ধারণার বাইরে ছিল।’ লালবাজারের এক সূত্র জানিয়েছে, পিকলুর ছুরির আঘাতে সৌমেনের ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, পাকস্থলি, অন্ত্রের মতো মানবদেহের চার অপরিহার্য অঙ্গে গুরুতর ক্ষত তৈরি হয়েছিল। ফলে এই হত্যাকাণ্ড উত্তেজনার বশে নিছকই খুন নয় বরং পরিকল্পিত খুন বলে প্রমাণ করা সহজ করে দিয়েছে।