নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামে ফের হাতির তাণ্ডব। শনিবার ভোররাতে গড় শালবনীর একটি শিশু বিকাশ আবাসিক কেন্দ্রে পাঁচটি হাতি ঢুকে পড়ে। রান্নাঘরের দেওয়াল ভেঙে বস্তায় থাকা মুড়ি ও আলু বের করে খায়। সব্জিবাগানও তছনছ করে। হাতির হানা থেকে আবাসিক কেন্দ্রে থাকা শিশুরা অল্পের জন্য রক্ষা পায়।
ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের লোধাশুলি রেঞ্জের শালবনী, গড় শালবনী, কৈয়মা ও জিতুশোলে গত পাঁচ-ছ’দিন ধরে একটি হাতির দল ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাত হলেই খাবারের সন্ধানে তারা গ্ৰামে ঢুকে পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ওই শিশু বিকাশ কেন্দ্রের ভিতরে এদিন দু’টি বড় ও তিনটি হস্তি শাবক ভোর ৪টের সময় ঢুকে পড়ে। প্রথমে রান্নাঘরের দেওয়াল ভাঙে। রান্নাঘর লাগোয়া স্টোররুমে বস্তায় থাকা মুড়ি ও আলু খায়। সেখান থেকে বের হয়ে বাগানে লাগানো সব্জি খায়। খাওয়া শেষ হলে হাতির দলটি আবাসিক কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়।
ঘটনায় ওই কেন্দ্রের শিশুরা আতঙ্কে রয়েছে। সেখানকার ফাদার বলেন, এক সপ্তাহ ধরে রাত হলেই হাতির দলটি এলাকায় আসছে। এদিন শাবক সহ মোট পাঁচটি হাতি আবাসিক কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে তাণ্ডব চালায়। রান্নাঘর লাগোয়া স্টোররুমে তিন-চার বস্তা মুড়ি ও এক বস্তা আলু ছিল। সব খেয়ে নিয়েছে। এই আবাসিক কেন্দ্রে ৬০ জন দুঃস্থ পরিবারের ছেলে রয়েছে। শিশুদের থাকার জায়গায় হাতির দল ঢুকে পড়লে বিপদ হতো। বনবিভাগকে হাতির পালের আসার কথা জানানো হয়েছিল। সুরক্ষার জন্য মশাল দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত মশাল পাইনি। লোধাশুলি রেঞ্জের এক বনকর্তা বলেন, বন বিভাগের কর্মীরা খবর পেয়েই ওই আবাসিক কেন্দ্রে গিয়েছিল। বন বিভাগের আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। হাতির দলটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। এলাকায় বন বিভাগের কর্মীদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। • আতঙ্কিত এলাকাবাসী। -নিজস্ব চিত্র