নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: শনিবার মেদিনীপুর শহরে প্রথমবার প্রাক-কাউন্সেলিং ও শিক্ষামেলা আয়োজন করল দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব প্রফেশনাল অ্যাকাডেমিক ইন্সটিটিউশনস(এপিএআই)। শহরের জ্যাক পল রেসিডেন্সিতে এই একদিনের শিক্ষামেলা ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে ছিল। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে মেদিনীপুরের পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকার, এপিএআইয়ের সভাপতি তথা জেআইএস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সর্দার তরণজিৎ সিং, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তথা সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় ও টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের(ত্রিপুরা) উপাচার্য সত্যম রায়চৌধুরী, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শমিত রায়, সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ অলোক টিব্রেওয়াল ও মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান উপস্থিত ছিলেন।
এই মেলার উদ্দেশ্য ছিল, মেদিনীপুর শহর ও সংলগ্ন এলাকার মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার সঠিক দিকনির্দেশ দেওয়া। মেলার উদ্যোক্তারা জানান, মূলত পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন স্বনির্ভর ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সম্ভাব্য পথ সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করতেই এই শিক্ষামেলা আয়োজিত হয়।
পুলিস সুপার বলেন, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি আপ্লুত। পড়ুয়াদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সংগঠনের সভাপতি সর্দার তরণজিৎ সিং বলেন, আমাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্রছাত্রীরা কম খরচে ভালো মানের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। বিভিন্ন বৃত্তি, ফি ছাড় ও স্বল্প সুদে শিক্ষাঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। মেদিনীপুরে প্রথমবার এমন মেলা আয়োজন করে ভালো সাড়া মিলেছে।
এপিএআই বহুদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন স্বনির্ভর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একছাতার তলায় এনে নানাধরনের জনমুখী কাজ করছে। এই সংগঠনের আওতায় থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বহুদিন ধরে বিটেক, এমটেক, বিবিএ, এমবিএ, বিসিএ, এমসিএ, বিফার্ম, বিআর্ক ও বিএইচএম-এর মতো স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের শিক্ষাদান করছে। রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফার্মেসি শিক্ষার প্রায় ৮৫শতাংশ এই সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার সায়েন্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, সাইবার সিকিউরিটি, ইন্টারনেট অব থিংস, আর্কিটেকচার ও ফার্মেসির মতো আধুনিক ও চাহিদাসম্পন্ন বিষয়ে পাঠদান করা হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সত্যম রায়চৌধুরী বলেন, আড়াই দশকের বেশি সময় ধরে আমাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলি হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে দেশে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ করে দিয়েছে। -নিজস্ব চিত্র