• বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মেয়েকে নিয়ে কষ্টের দিনযাপন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার, মিলছে না কোনওরকম সরকারি সুবিধা
    বর্তমান | ১৫ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মেয়েকে নিয়ে খুব কষ্ট করে দিন যাপন করছেন বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা। তাঁদের অভিযোগ, ভোটের সময় নেতাদের দেখা পাওয়া গেলেও পরে আর কেউ খোঁজ নেন না। বৃদ্ধার মেয়ের বয়স ৪০ বছর। তিনি হাঁটতে পারেন না। মানবিক ভাতা পান। কিন্তু এখনও তিনি লক্ষ্মীরভাণ্ডার থেকে বঞ্চিত। বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা কেউই বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না। বিডিও অফিস থেকে জিআর পেয়ে কোনওরকমে চলছে সংসার। মাঠঘাট থেকে শাকসব্জি সংগ্রহ করে তা‌ তাঁরা রান্না করে খাচ্ছেন। বাড়িতে সরকারি শৌচালয় পর্যন্ত তাঁরা পাননি। এমনকী পাননি পানীয় জলের সরকারি কলও। অত্যন্ত দুঃস্থ এই পরিবারের দাবি, সরকারি সুবিধাগুলি পেলে তাঁদের জীবনযাপনে অনেকটাই সুবিধা হবে। 

    ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর খাগড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বছর ৯০ এর মদন মণ্ডল। বয়সজনিত কারণে তিনি কোনও কাজ করতে পারেন না। মদনবাবুর স্ত্রী মালা রানি মণ্ডলের বয়স ৭০। বাড়ির শৌচালয়টির বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থা। অসহায় পরিস্থিতির জন্য নিজের শেষ সম্বল সামান্য জমিও বিক্রি করে দিয়েছেন। কোনওরকমে সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে একটি ঘর তৈরি করেছেন। শুধুমাত্র বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মেয়ে সরলা মণ্ডল হাজার টাকা করে যে মানবিক ভাতা পান সেটাই তাঁদের সম্বল। অভিযোগ কেউ তাঁদের কোনও খোঁজখবর নেন না। নিতান্ত অসহায় অবস্থায় তাঁদেরকে দিন যাপন করতে হচ্ছে। 

    সরলা বলেন, মা-বাবা কেউ বার্ধক্য ভাতা পান না। আমি লক্ষ্মীরভাণ্ডার পাই না। আমাদের এমন পরিস্থিতি যে আবেদন করতে যাওয়াটাও বিরাট সমস্যা। আমরা চাইছি জনপ্রতিনিধিরা একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। আমরা গ্রামের এদিক ওদিক থেকে শাক, সব্জি সংগ্রহ করে খেয়ে কোনওরকমে বেঁচে আছি। ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি  কুমুদ রঞ্জন রায় বলেন, আমরা খবর নেব ওই বৃদ্ধ বৃদ্ধার বার্ধক্য বাধার অ্যাপ্রুভ লিস্টে নাম রয়েছে কি না। ময়নাগুড়ির বিডিও প্রসেনজিত কুণ্ডু বলেন, সোমবারের মধ্যেই ওই পরিবারের জন্য শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হবে। অন্যান্য সরকারি ভাতা দেওয়ার বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)