উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিটেও রাজ্যে প্রথম, নিউরো সার্জারি নিয়ে পড়তে চায় বর্ধমানের রূপায়ণ
প্রতিদিন | ১৫ জুন ২০২৫
অর্ক দে, বর্ধমান: উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম। গর্বে মুখ উজ্জ্বল হয়েছিল বাবা-মায়ের। এবার সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলপ্রকাশ। সেখানেও রাজ্যের মধ্যে মেধাতালিকায় প্রথম রূপায়ণ পাল। দেশের মেধাতালিকায় ২০ নম্বর স্থানে বর্ধমানের এই কৃতী। আজ শনিবার এনআইআইটি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ফল জানার পরেই বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লির বাড়িতে শুভেচ্ছা আসতে শুরু করে। ছেলের এই সাফল্যে খুশি পরিবার-পরিজনেরা।
এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম হয়েছিল রূপায়ণ। উচ্চমাধ্যমিকের পড়শোনার পাশাপাশি সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-এর জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। সেখানেও সফল রূপায়ণ। বর্ধমানের সিএমএস স্কুলের ছাত্র রূপায়ণ পাল উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৪৯৭ নম্বর পেয়েছে। নিট পরীক্ষায় সে ৯৯.৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। রাজ্যের মধ্যেও সে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। রূপায়ণ জানায়, উচ্চ মাধ্যমিকের পাশাপাশি, নিট পরীক্ষার জন্যেও প্রস্তুতি চলছিল। পরীক্ষা ভালো হলেও রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান একেবারেই কল্পনা করতে পারেনি। তবে, এবছর কাট অফ মার্কস যেভাবে নেমেছে, তাতে শেষের দিকে ভালো ফলাফল প্রত্যাশা করেছিল। রূপায়ণ বলে,”ডাক্তারি নিয়েই আগামী দিনে পড়াশোনা করবে সে। নিউরো সার্জারি নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে তার। এজন্য দিল্লি এআইএমএস থেকে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে।” তবে, পড়াশোনা শেষে রাজ্যে ফিরেই মানুষের সেবা করতে চায় বলে জানিয়েছে এই কৃতী।
বাবা-মা দু’জনেই পেশায় শিক্ষক। ছেলেকে পড়াশোনা নিয়ে কখনও কিছু বলতে হয়নি তাঁদের। নিয়ম করে পড়াশোনা করে গিয়েছে রূপায়ণ। পাশাপাশি খেলার প্রতিও আগ্রহ নেহাত কম নেই। সুযোগ পেলে টেলিভিশন চ্যালেনে খেলা দেখে। গোয়েন্দা গল্পের বই পড়ার প্রতিও ঝোঁক আছে তার। ছেলে ছোট থেকেই ডাক্তার হতে চায়। রূপায়ণের বাবা রবীন্দ্রনাথ পাল বলেন,”ওর ইচ্ছেমতোই আগামী দিনে মেডিক্যাল নিয়ে পড়াশোনা করবে।”