• রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ৬ মাসে খুলল ১৫টি বন্ধ চা বাগান
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৫ জুন ২০২৫
  • রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চলতি বছর ১৫টি বন্ধ চা বাগান খুলেছে। এর মধ্যে ৮টি আলিপুরদুয়ার এবং ৭টি দার্জিলিং জেলার। সব মিলিয়ে ১৪ হাজার ৪৮৪ জন চা শ্রমিক উপকৃত হয়েছেন। এর ফলে চা শিল্প ও শ্রমজীবী মানুষদের জীবনে স্বস্তি এসেছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক।

    গত বছরের নভেম্বর মাসে একটি নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিউর (এসওপি) চালু করে রাজ্য সরকার। আচমকা কোনও বাগান বন্ধ হয়ে গেলে সেটি পরিচালনার দায়িত্ব অন্য কারও হাতে তুলে দিয়ে শ্রমিকদের দুর্দশার হাত থেকে রক্ষা করাই ছিল এর মূল উদ্দেশ্য। গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, চালু চা বাগান বন্ধ করে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করে পালিয়ে গিয়েছেন বাগান মালিকরা। অনেক ক্ষেত্রে লিজ বদলের সময়ও বেশ খানিকটা সময় লেগে যেত। এর ফলে দুর্ভোগে পড়তেন হাজার হাজার শ্রমিক।

    শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য রাজ্য সরকার নতুন এসওপি চালু করে। এসওপি অনুযায়ী, কোনও চা বাগানের লিজের মেয়াদ না থাকলেও যদি মালিক হঠাৎ বাগান ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং সেই বাগান শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নের সহমত নিয়ে তিন বছর ধরে মজুরি ও সমস্ত প্রাপ্য পরিশোধ করে চালানো হয়, তবে সেই বাগানকে স্থায়ী লিজ দেওয়া হয়। এছাড়াও আরও বেশ কিছু সহজ শর্ত চালু করা হয়। সেই সব শর্তের ভিত্তিতেই গত পাঁচ-ছয় মাসে রাজ্যের ১৫টি বন্ধ চা বাগান ফের চালু হয়েছে বলে জানান শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক।

    শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘এই মডেল কার্যকর হওয়ায় আরও দুটি চা বাগানও শীঘ্রই খুলে যাবে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষ পর্যায়ে।’ শ্রম দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং অর্গানিক টি এস্টেটস প্রাইভেট লিমিটেড পরিচালিত চারটি চা বাগান সংক্রান্ত মামলা বর্তমানে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনালে (এনসিএলটি) বিচারাধীন। ওই বাগানগুলির মালিকরাও হঠাৎ বাগান ছেড়ে পালিয়ে যান। এছাড়া তিনটি চা বাগান বাম আমল থেকেই বন্ধ। চা শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দাবিকে রাজ্য সরকার গুরুত্ব দেওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন হাজার হাজার চা শ্রমিক।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)