কিডনি পাচার-কাণ্ডে এ বার পুলিশের জালে আরও তিনজন অভিযুক্ত। এর আগে এই ঘটনায় এক আইনজীবী-সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছিল অশোকনগর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এ বার আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম সুরজিৎ ঘোষ (৩৭), শিশির কর্মকার (৪৮) ও কালাচাঁদ দাস (৩৮)। শুক্রবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়, শনিবার বারাসত আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রের খবর, এর আগে কিডনি পাচারকারী বিকাশ ঘোষ ওরফে শীতল পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। সেই শীতলের সহকারী হিসেবে সুরজিৎ ঘোষের নাম উঠে আসে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সুরজিৎ কিডনি পাচার-কাণ্ডে শীতলকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি সুদের টাকা বিভিন্ন জায়গা থেকে আদায় করত। পুলিশ এই ঘটনায় সুরজিতের সঙ্গে শিশির ও কালাচাঁদের যোগসূত্র খুঁজে পায়।
সূত্রের খবর, এর পরেই পুলিশ হরিপুর ঘোষপাড়া থেকে সুরজিৎকে, নিবেদিতা পল্লি থেকে শিশিরকে এবং বিজয় ফার্মেসি এলাকা থেকে কালাচাঁদকে গ্রেপ্তার করে। শিশির শাসক দলের ঘনিষ্ঠ বলেও অভিযোগ উঠছে। যদিও শিশিরের দাবি, তিনি যড়যন্ত্রের শিকার। এর বাইরে আর কিছুই নেই।
অশোকনগরের বিজেপি সভাপতি বাপি মিস্ত্রি বলেন, ‘এই ঘটনার শিকড় অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত। শিশির কর্মকার শুধু একা জড়িত নন, এর পিছনে শাসকদলেরও অনেকে জড়িত রয়েছেন।’
অশোকনগরে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক ধীমান রায় বলেন, ‘ছেলেটি তৃণমূল করতেন। তবে দল এই অনৈতিক কাজ কখনই সমর্থন করে না। তিনি যদি দোষী হন, তাহলে তাঁর শাস্তি হবে।’
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে সুদের টাকা শোধ করতে না পারায় কিডনি বিক্রি করে এক গৃহবধূকে টাকা শোধ করতে হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এই গ্রেপ্তারি।