রাজ্য পুলিশে রদবদল। রবীন্দ্রনগর থানার ইন্সপেক্টর ইন চার্জ (আইসি) মুকুল মিঁয়াকে পাঠানো হলো দার্জিলিঙে। সেই জায়গায় আনা হয়েছে মালদার রতুয়ার সার্কেল ইন্সপেক্টর সুজনকুমার রায়কে। এ ছাড়াও মহেশতলার এসডিপিও কামরুজ্জামান মোল্লাকে বদলি করা হয়েছে স্টেট আর্মড পুলিশ (SAP)-র তৃতীয় ব্যাটেলিয়ানের সহকারী কমান্ডান্ট পদে। মহেশতলার নতুন এসডিপিও হয়েছেন সৈয়দ রেজাউল কবীর। তিনি রাজারহাট থানার আইসি ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার তপ্ত হয়ে উঠেছিল মহেশতলার রবীন্দ্রনগর এলাকা। রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। থানার সামনে রীতিমতো তাণ্ডব হয়েছিল। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দেখানো হয় বিক্ষোভ। পুলিশকে লক্ষ্য করে মুড়িমুড়কির মতো ইট, পাথর ছোড়া হয়। থানার কাছেই পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আগুন ধরানো হয় মোটরবাইকে। আহত হয়েছিলেন একাধিক পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের বড় বাহিনী মোতায়েন করতে হয়েছিল। এলাকায় বসানো হয়েছিল পুলিশ পিকেট।
ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জোনাল মিতুন কুমার দে। তাঁরা স্পষ্ট জানান, এ ঘটনায় যে বা যারা যুক্ত তাদের কাউকেউ রেয়াত করা হবে না। পাশাপাশি যদি কোনও পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ মেলে সে ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার। ধর্ম এবং রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে পদক্ষেপ করছে পুলিশ, জানিয়েছিলেন তিনি। রবীন্দ্রনগরের অশান্তির ঘটনার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই এই বদলি। যদিও সরকারি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, এই বদলি রুটিন মাফিক করা হয়েছে।