এই সময়, বোলপুর: জামিন না নিয়েই দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতা গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে রওনা দেওয়ার সময়ে অনুব্রত বলেন, ‘সবাইকেই তো ডেকেছে’। অর্থাৎ আজ, ১৪ জুন কলকাতায় সুব্রত বক্সীর ডাকা বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বোলপুর থানার আইসিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের ঘটনায় মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। এক দিকে সরব হয়েছে বিরোধীরা, অন্য দিকে, চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। এই আবহে দলীয় বৈঠকে অনুব্রতর যোগ দেওয়াটা অতি তাৎপর্যপূর্ণ বলেন মনে করছেন সকলে।
আজ রাজ্যের সমস্ত জেলার সভাপতিদের কলকাতার ভবানীপুরে ডেকে পাঠিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। দলীয় সূত্রে খবর, ২১ জুলাই দলের শহিদ সভার প্রস্তুতি বৈঠকের জন্যই সবাইকে ডাকা হয়েছে। ডাক পেয়েছেন বীরভূমের কোর কমিটির সদস্যরাও।
কোর কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়জুল হক ওরফে কাজল শেখ, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় ও বোলপুরের সাংসদ অসিত মালকে ডাকা হয়েছে।
আইসি-কে কুকথার ঘটনায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তলব পাওয়ার পরে পাঁচ দিন ‘বেড রেস্টে’ থেকে মামলার তদন্তকারী অফিসার বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়ালের কাছে হাজিরাও দিয়েছেন অনুব্রত। কিন্তু এখনও তিনি জামিন নেননি।
এ দিকে, অনুব্রতকে গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রথম থেকেই সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আইসির পরিবারের উদ্দেশে অশালীন কথা বলায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।
তারপরেই দেখা গিয়েছে অনুব্রতর নিরাপত্তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এ দিন, একটি মাত্র পুলিশের গাড়ি দেখা গেল অনুব্রতর কনভয়ে।
এখন দেখার, এই বৈঠকে অনুব্রতকে কি আলাদা কোনও সতর্কবার্তা দেবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব? নাকি কোনও বার্তা দেওয়া হবে পুরো কোর কমিটিকেই?