• ব্রিজের নীচে আগুন জ্বালানোয় ক্ষতি হচ্ছে উড়ালপুলের, দাবি ফিরহাদের
    বর্তমান | ১৪ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সেতুর নীচে আগুন জ্বালানোর ফলে উড়ালপুলের ক্ষতি হচ্ছে। তাই কেএমডিএ, পিডব্লুডি বা এইচআরবিসি’র সেতুর নীচে কাউকে বসতে বা সংসার পাততে দেওয়া হবে না। তুলে দেওয়ার পরেও কেউ বসছে কি না বা নতুন করে কোনও জায়গা দখল হচ্ছে কি না, তা নজর রাখতে হবে পুলিসকেই। শুক্রবার, ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মেয়র জানান, ফুটপাত ও উড়ালপুলের নীচ থেকে ভবঘুরে, ফুটপাতবাসীদের সরানোর ক্ষেত্রে পুলিসের লাগাতার নজরদারি জরুরি। 

    শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভবঘুরে ও ফুটপাতবাসীদের সরিয়ে নাইট শেল্টারে নিয়ে যেতে গত মঙ্গলবার স্থানীয় থানার পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায় কলকাতা পুরসভা। মল্লিকবাজার, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে গড়িয়াহাট, হাজরা মোড় থেকে গোপালনগর এবং পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট ক্রসিং থেকে বেকবাগান—এই চার জায়গা থেকে ভবঘুরে এবং ফুটপাতবাসীদের সরিয়ে রাস্তা, ফুটপাত এবং ব্রিজের নীচের অংশ খালি করার তোড়জোড় চলে। এসব জায়গায় রীতিমতো সংসার পেতে বসেছিল ভবঘুরেরা। তাদের জিনিসপত্র তুলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও প্রায় কাউকেই নাইট শেল্টারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘ভবঘুরেদের নাইট শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হবে। পুলিসের সাহায্য নিয়ে এই কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এরপরও যে ভবঘুরে বা ফুটপাতবাসী ফিরে আসছে বা যেতে চাইছে না, তারা আসলে ব্যবসায়ী। আমরা একবার-দু’বার তুলে দিতে পারি। কিন্তু পুলিসকে নিয়মিত নজরদারি রাখতেই হবে।’ 

    প্রসঙ্গত, শহরের বিভিন্ন রাস্তা, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, ফুটপাত বা ব্রিজের নীচে ভবঘুরে ও ফুটপাতবাসীদের আস্তানা তৈরি হয়েছে। প্লাস্টিকের ছাউনি করে চলছে বসবাস। এসব জায়গায় অনেক সময় চোর, পকেটমাররাও ঘাপটি মেরে থাকে বলে অভিযোগ। মেয়র বলেন, ‘এরা সেতুর তলায় রান্নাবান্না করে। আগুনের জন্য সেতুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া, এরা নানা ধরনের অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। আইন-শৃঙ্খলার জন্য সমস্যাও বটে। তাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে কি না, সেটাও বোঝা যায় না। এক ধরনের ব্যবসায়ী এবং হুলিগানরা ভবঘুরে হিসেবে আশ্রয় নিচ্ছে। এটা পুলিসেরই দেখার দায়িত্ব।’ 

    এই প্রেক্ষিতে আগামী দিনে ভবঘুরেদের সরিয়ে এলাকা খালি করতে এবং নতুন করে কেউ যাতে ফুটপাতে সংসার পাততে না পারে, তা নিশ্চিত করতে পুলিসি নজরদারি আরও কড়া হওয়া দরকার বলে মনে করে পুরসভা। এই মর্মেই পুলিস কমিশনারকে ফের চিঠি পাঠিয়েছেন পুর-কমিশনার।
  • Link to this news (বর্তমান)