• কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু হওয়ায় আয় বেড়েছে শালবনী পঞ্চায়েতের
    বর্তমান | ১৪ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শালবনী: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের একমাত্র শালবনী গ্রাম পঞ্চায়েতেই চালু হয়েছে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প। আর তাতেই লক্ষাধিক টাকা আয় বৃদ্ধি পেল পঞ্চায়েত সমিতির। পাশাপাশি ব্লক প্রশাসন আবর্জনা মোকাবিলায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দা থেকে জন প্রতিনিধিরাও। প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, খুব শীঘ্রই সাতপাটি, কর্ণগড় সহ বাকি ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতেও চালু হতে চলেছে এই প্রকল্প। ইতিমধ্যেই আবর্জনা সংগ্রহের জন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তিনটি করে ই-কার্ট গাড়ি দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, শালবনী ব্লকে প্লাস্টিক সংগ্রহের কাজও শুরু হবে। সেই প্লাস্টিক ব্যবহার করা হবে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা সংস্কারের কাজে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, শালবনী ব্লক এলাকার সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল আবর্জনা। যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকায় দূষণ ছড়াত। এই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।

    এদিন শালবনীর বিডিও রোমান মণ্ডল বলেন, প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের এই প্রকল্পে যুক্ত করা হবে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন আবর্জনার সমস্যা দূর হবে, অপরদিকে, কর্মসংস্থানও বাড়বে। শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ বলেন, ২০১৪ সাল থেকেই শালবনী গ্রাম পঞ্চায়েতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় বর্জ্য সংগ্রহ করে তা ব্যবহারযোগ্য ও অব্যবহারযোগ্য অংশে ভাগ করা হয়। এরপর সেখান থেকে তৈরি  হবে জৈব সার। সেই জৈব সার পেয়ে উপকৃত হবেন চাষিরাও। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এই প্রকল্প রূপায়ণের ফলে আয়ও বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। বর্জ্য সরানোর জন্য একটি বেসরকারি কোম্পানির তরফ থেকে পঞ্চায়েত সমিতিকে প্রতি মাসে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়াও আরেকটি বেসরকারি কোম্পানি প্রতি মাসে দেয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এই অর্থ দিয়ে একটি তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে। সেই টাকা কর্মীদের বেতনে ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক খরচে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুর এলাকার ধাঁচে বাড়ি বাড়ি থেকেও অল্প পরিমাণে হলেও টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    শালবনী এলাকার বাসিন্দা চম্পক দে বলেন, এই প্রকল্প শুধুমাত্র পরিবেশ রক্ষা করছে না, পঞ্চায়েত সমিতিকে আর্থিক স্বনির্ভর করে তুলছে। এই প্রকল্পের সঙ্গে সবক’টি গ্রাম পঞ্চায়েত যুক্ত হলে উপকৃত হবেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।
  • Link to this news (বর্তমান)