• ঝড়ে ভাঙা গাছের কালোবাজারি, কম দামে কিনে পাচার
    বর্তমান | ১৪ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: ঝড়ে গাছ পড়তেই সক্রিয় কাঠ মাফিয়ারা। কম দম কাঠ কিনে চড়া দামে বিহারে পাচার করে দিচ্ছে বলে দাবি একাংশের। খোদ শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ কিশোরীমোহন সিংহ কোনও উপায় না পেয়ে দুই লক্ষ টাকার সেগুন কাঠ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছেন। এই বিপর্যয়ে মুনাফা লুটছেন কাঠ ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন গ্রামে হানা দিচ্ছে তারা। 

    বন ও ভূমি কর্মাধক্ষ্য বলেন, ঝড়ে আমার বাড়ির আম, কাঠাল, সেগুনের মতো ২০টি গাছ উপড়ে পড়েছে। কিছু কাঠ জ্বালানির জন্য রেখেছি। কিছু বিক্রি করেছি। গ্রামের মানুষরা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ বিক্রি করছেন। কেউ জ্বালানির জন্য, কেউবা আবার বাড়ির আসাবপত্রের জন্য কাঠ রাখছেন। রাঙ্গালির এক বাসিন্দা রতিলাল সিংহ বলেন, ঘরের দুটি বড় আম গাছ ভেঙে পড়েছে। কিছু কাঠ রেখেছি। তা ঘরের কাজে লাগাব। বাকিটা বিক্রি করে দেব। 

    গত বুধবার খড়িবাড়ির বুড়াগঞ্জের একাধিক গ্রাম ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়। আধঘণ্টায় বিভিন্ন এলাকায় হাজারখানেক গাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আম, জাম, কাঠাল, তাল, নারিকেল, কৃষ্ণচূড়া, নিম, শিশু, সেগুন, চালাতার সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ঝড়ে উপড়ে পড়ে। এত গাছের কাঠ রাখবেন কোথায় তা ভাবাচ্ছে বাসিন্দাদের। এজন্য কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।

    খড়িবাড়ি বিডিও দীপ্তি সাউ বলেন, গ্রামবাসীদের যাতে ক্ষতির মুখে পড়তে না হয় তা খোঁজ নেব। এদিকে কাঠের কালো বাজারি না হয় তা নজরে রাখছে বনদপ্তর। টুকরিয়াঝারের রেঞ্জার সুরজ মুখিয়া বলেন, ঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়া জ্বালানি কাঠ গ্রামবাসীরা নিয়ে গিয়েছেন। তবে গাছেরগুঁড়ি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করেন, তা নিয়ে আমরা গ্রামে গ্রামে সচেতন করেছি। পাশাপাশি গাছ কাটার ফর্ম গ্রাম পঞ্চায়েত দেওয়া আছে। যাতে নিয়ম মেনে গাছ কাটা হয়। পূর্তদপ্তরের এক্তিয়ারভুক্ত গাছগুলি কেউ যাতে চুরি না করে, সেটা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ঝড়ে অসংখ্য গাছের ক্ষতি হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আবেদন করা হলে, গাছের চারা বিতরণের উদ্যোগ  নেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)