নারায়ণ সিংহ রায়: অষ্টম শ্রেণীর ওই নাবালিকা ছাত্রী শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষী কলোনীর বাসিন্দা পেশায় গৃহশিক্ষক অমর দাসের কাছে পঞ্চম শ্রেণী থেকেই পড়াশোনা করে। অভিযোগ, বিগত বছরগুলোতে কোনও প্রকার ঘটনা না ঘটলেও বিগত সপ্তাহ থেকে নাবালিকা ছাত্রীর সঙ্গে একাধিকাবার অশালীন কাজ করে গৃহ শিক্ষক অমর দাস। ঘটনার কথা জানাজানি হলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। তবে শুক্রবার শারীরিক নির্যাতনের সবরকম সীমানা পার করে।
পরিবার সূত্রে খবর, নাবালিকার মা পরিচারিকার কাজ করে সংসার ও ছেলেমেয়ের পড়াশোনা চালান। শুক্রবার সন্ধ্যে নাগাদ গৃহশিক্ষক সকলকে ছুটি দিয়ে নাবালিকার সঙ্গে অশালীন কাজ করে। মেয়ের ফিরতে দেরি হওয়ার তার মা তাকে গৃহশিক্ষকের বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে গেলে মেয়ের পরিস্থিতি দেখে তাকে চেপে ধরতেই বিগত কয়েকদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ সে তার মাকে সব ঘটনা খুলে বলে।
নির্যাতিতা নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, "আমার পাশে দাঁড়াবার মত কেউ নেই। আমার স্বামী নেই। এই এলাকায় ভাড়া থাকি। বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে ছেলে মেয়েদের নিয়ে চলি। গৃহ শিক্ষকের কাছে পঞ্চম শ্রেণী থেকে পড়ে। এরপর আর কাউকেই বিশ্বাস করতে পারব না। এই ছেলেটির বিরুদ্ধে অতীতেও অনেক অভিযোগ রয়েছে। তারা অনেকেই পড়া ছেড়ে দিয়েছে তার কাছে ৷ কিন্তু আমি এর উপযুক্ত শাস্তি চাই। বাকি জীবনটা তার কারাগারেই কাটুক। এভাবে কত পড়ুয়ার জীবন নষ্ট করবে সে?"
অন্যদিকে, পরিবারের অভিযোগ, গৃহ শিক্ষক অমর দাস রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ৷ এলাকার শাসক দলের সাথে তার বেশ ঘনিষ্ঠতা। যার কারণে এর আগেই এই ধরনের কান্ড ঘটানোর পরও কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলেনি। এ বিষয়ে ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর প্রীতিকনা বিশ্বাস বলেন, "ঘটনার অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে৷ তবে এর সঙ্গে দলের কোন যোগাযোগ নেই। সে আমাদের দলের কর্মীও না।"
এ বিষয়ে শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, "গৃহ শিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়ে ফেরার পরই পরিবারের কাছে সে এই ঘটনা বলে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তাকে গ্রেফতার করি। অতীতেও এমন কোন ঘটনা আছে কি তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।"